সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় শ্যালক-দুলাভাই’র যাবজ্জীবন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০২৩, ৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ সুনামগঞ্জে মুজিব হত্যা মামলায় শ্যালক ও দুলাভাইকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলো সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বেগমপুর গ্রামের মৃত ইয়াছি আলীর ছেলে কনরুল প্রকাশ কামরুল ইসলাম ও একই উপজেলার কেজাউরা গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে এলাইছ মিয়া।
কনরুল ও এলাইছ মিয়া সম্পর্কে শ্যালক ও দুলাভাই। সূত্র জানায়, এলাইছ মিয়ার সাথে একই উপজেলার মধুপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মুজিবের বিলের ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ২০০২ সালের ২২ জুন বিকেলে মুজিব ও তার ছোট ভাই সৈয়দুর রহমান নিজ বসতঘরে বসে আলাপ করছিল। এসময় আসামি এলাইছ মিয়ার সাথে বিরোধ মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলেন শ্যালক কনরুল ও দুলাভাই এলাইছ মিয়া মুজিবকে ঘর থেকে ডেকে এলাইছ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাইমা গ্রামের ভাটিপাড়া রাস্তার দক্ষিণে মুজিবের মাথা, নাক, মুখ, বুক, পিঠ, হাত ও শরীরের অন্যান্য স্থানে কোপ এবং ঘাই মেরে হত্যার চিহ্ন পাওয়া যায়।
পরে মুজিবের বাবা আব্দুর রউফ বাদী হয়ে দিরাই থানায় এলাইছ মিয়া, শ্যালক কনরুল ও কেজাউরা গ্রামের মহিম উদ্দিনের ছেলে বাছির আলীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতের চার্জসীট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এলাইছ মিয়া ও কনরুল প্রকাশ কামরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও প্রত্যেককে ২০ হাজার করে টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত না হাওয়ায় অপর আসামি বাছির আলীকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন বিচারক।