জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন-স্মারকলিপি
সিলেটে বিআরটিএ’র দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহার চায় শ্রমিক ইউনিয়ন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৩, ৯:১৬:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিআরটিএ সিলেট সার্কেল’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) রিয়াজুল ইসলাম ও মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারীকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। গত বছরের ২ অক্টোবর মেট্রো আরটিসির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকপাত করে বক্তারা বলেন,‘সিলেট জেলার ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি অটোরিকশার মালিকগণ মেট্রো ঠিকানায় বদলি হতে পারবে না।’ কিন্তু এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) রিয়াজুল ইসলাম। তিনি প্রতিটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে ৫০/৬০ হাজার করে উৎকোচ গ্রহণপূর্বক এমআরটিসির সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে মালিকানা বদলি করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়াতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মো. ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, সহ-সাধরণ সম্পাদক মো.মাহবুব মিয়া মবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাছনাত, কোষাধ্যক্ষ আব্দস শহিদ, সদস্য সাহেদ আহমদ, সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি শাহ দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ৭০৭ সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, থ্রি হুইলার শ্রমিক ইউনিয়ন, অটো টেম্পো অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন উপকমিটির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ‘বিআরটিএ একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্য এই দুই কর্মকর্তা বেমালুম ভুলে গেছেন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। তারা টাকার মোহে নীতি নৈতিকতা, বিধিবিধান উপেক্ষা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবাগ্রহিতার সাথে দুর্ব্যবহারের কারণে মর্যাদাকর এই প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বিআরটিএ কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।