‘ছয় কারণে সিলেটে শিশু অপুষ্টির হার বেশী’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৩, ৩:৫৬:০৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছয় কারণে সিলেট বিভাগে শিশুদের অপুষ্টির হার বেশী। কারণ সমূহ হচ্ছে-বসতবাড়িতে খাদ্য উৎপাদনের হার কম, শিক্ষায় অনগ্রসরতা, বাল্য বিবাহ, পুষ্টি সহায়ক খাদ্যাভ্যাসের অভাব, পরিবার প্রতি সন্তান সংখ্যা বেশী ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের হার কম।
সিলেট জেলায় পুষ্টি বিষয়ে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট নগরীর একটি হোটেলে সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ কর্মশালার আয়োজন করে। এফসিডিও ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় বাস্তবায়িতসেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের সূচনা কর্মসূচি এ কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে।
সিভিল সার্জন ডা: এস এম শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুষ্টির উন্নয়নে সিলেট জেলার অবস্থান তুলে ধরেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: স্বপ্নীল সৌরভ রায়। এতে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট স্ট্যান্টিং (খর্বকার) শিশুর সংখ্যা সবচাইতে বেশী। সারাদেশে ৫ বছরের নিচে স্ট্যান্টিং শিশুর সংখ্যা ২৮ ভাগ হলেও সিলেট বিভাগে এ হার ৩৮ ভাগ। আর সিলেট জেলায় এ হার ৩৭ ভাগ, সুনামগঞ্জে ৪৪ ভাগ আর মৌলভীবাজারে ৩০ ভাগ। এছাড়া, ওয়াস্টিং (উচ্চতার তুলনায় ওজন কম) শিশুর হার সারাদেশে শতকরা ১০ ভাগ হলেও সিলেট বিভাগে এ হার ১১ ভাগ। আন্ডারওয়েট (ওজন কম) শিশুর সংখ্যা সারাদেশে ২৩ ভাগ হলেও সিলেট বিভাগে এ হার ৩২ ভাগ।
ডা: স্বপ্নীল সৌরভ রায় জানান, সিলেট অঞ্চলের লোকজন ছোট মাছ খেতে অভ্যস্ত নয়। অল্প পরিমাণ সুটকি ও ঝাল দিয়ে ভাত খাবার প্রবণতা এখানকার মানুষের বেশী। প্রান্তিক কিছু উপজেলায় পরিবার প্রতি সন্তান সংখ্যা বেশী। দরিদ্র পরিবারের বসতবাড়িতে খাদ্য উৎপাদনের হার কম। সবমিলিয়ে এ অঞ্চলে অপুষ্টির হার বেশী। এ অবস্থায় পুষ্টিতে বিনিয়োগের পরামর্শ তার।
সিভিল সার্জন ডা: এস এম শাহরিয়ার জানান, খর্বকার শিশুর ক্ষেত্রে সিলেট পিছিয়ে থাকলেও মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ক্ষেত্রে সিলেটের অবস্থান প্রথম।
সেভ দ্যা চিলড্রেনের সিনিয়র ম্যানেজার কনসোর্টিয়াম মো: আল আমীনের উপস্থাপনায় কর্মশালায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা: লুৎফুন্নাহার জেসমিন, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত লায়লা নীরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেভ দ্যা চিলড্রেনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আলী রেজা পুষ্টি উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে করণীয় ও বাধা নিয়ে আরেকটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।