গণশুনানীতে পেট্রোবাংলার পরিচালক আলতাফ হোসেন
সেবাপ্রাপ্তিকে আরো সহজতর করতে চাই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০২৩, ৪:৪৮:২৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ গ্যাসকে অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার : পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন বলেছেন, তারা সেবাপ্রাপ্তিকে আরো সহজতর করতে চান। গণশুনানীর মাধ্যমে সার্ভিস দাতা ও গ্রহিতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেতুবন্ধন রচিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। দুর্নীতি রোধেও এটি সহায়ক।
গতকাল বুধবার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)-এর উদ্যোগে গ্যাসভবনে আয়োজিত গণশুনানীতে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেজিটিডিএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে ও কোম্পানি সচিব মো: শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত গণশুনানীতে প্রধান অতিথি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলসভাবে কাজ করে যাবার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে কোম্পানি সচিব মো: শহিদুল ইসলাম জানান, জালালাবাদ গ্যাসকে এরই মধ্যে অবৈধ সংযোগমুক্ত কোম্পানি ঘোষণা করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের কোন ছাড় নেই বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জালালাবাদ গ্যাসের জিএম (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী এবিএম শরীফ বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ গ্যাস সংযুক্তমুক্ত রাখতে তারা ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু করেছেন। ২০২৩ সালে সরকার পেট্রোবাংলার আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে কোম্পানিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তাদের ভিজিল্যান্স টিম কার্যকর রয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
জালালাবাদ গ্যাসের (বিপণন-দক্ষিণ) প্রকৌশলী মনজুর আহমদ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্যাসের সংকট রয়েছে। সংকটের কারণে গৃহস্থালীতে নতুন সংযোগ বন্ধ। পর্যায়ক্রমে অনেক পর্যায়ে গ্যাস সংযোগ সীমিত পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদেরকে চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে হয়। কারণ বিদ্যুতের সাথে সেচ-সারের সম্পর্ক। সব চাহিদা পূরণ করেই আমাদেরকে গ্যাস সরবরাহ করতে হয়। ভারসাম্য বজায় রেখে তাদেরকে গ্যাস সরবরাহ করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সকলকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে লোড বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই বলে তার মন্তব্য।
জালালাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক লিটন নন্দী আগামী মাস থেকেই সিলেট নগরীতে প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্প শ্রেণির ৯ জন, বাণিজ্যিক শ্রেণির একজন, সিএনজি শ্রেণির ৬ জন এবং ৪ জন আবাসিক শ্রেণির গ্রাহক বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকদের মধ্যে দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে গ্রাহকরা জালালাবাদ গ্যাসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিএনজি শ্রেণির গ্রাহকরা লোড বাড়ানোর প্রস্তাব জানালেও গ্যাস কর্মকর্তা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে এমডি কামরুজ্জামান বলেন, আমরা এলএনজি আমদানি করতাম ভর্তূকির মাধ্যমে। বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে গত জুলাই থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে গ্যাসের চাহিদার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।