সিলেট বিভাগের ৯ উপজেলা ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০২৩, ৫:১৩:২৭ অপরাহ্ন

নতুন ঘর পেলো ৩৬৪০টি পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট বিভাগে ৯টি উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলাসমূহ হচ্ছে-সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর, মৌলভীবাজারের রাজনগর, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা। গতকাল বুধবার বিভাগের ৯টি উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা- এই সাত জেলার সব উপজেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
দেশের ৭টি জেলার সকল উপজেলাসহ মোট ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
এছাড়া, গতকাল বুধবার সিলেট বিভাগের ৩৬৪০টি পরিবারের হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেয়া হয়। তৃতীয় ধাপের অবশিষ্ট ও চতুর্থ ধাপে সিলেট জেলায় ভূমি ও গৃহহীন ৬০৬টি, সুনামগঞ্জে ১২১৩টি, মৌলভীবাজারে ১০০৬টি ও হবিগঞ্জে ৮১৫টি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উপহার দেয়া হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলার বালাগঞ্জে ১০২, বিয়ানীবাজারে ৪৫, বিশ্বনাথে ৪৩, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ১২, গোলাপগঞ্জে ৩২, গোয়াইনঘাটে ১৭০, জৈন্তাপুরে ৩২, কানাইঘাটে ১৮, সিলেট সদরে ৪৪, জকিগঞ্জে ৫৬ ও দক্ষিণ সুরমায় ১৭টি ঘর উপহার দেয়া হয়েছে।
ঘর হস্তান্তরের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
কেউ গৃহহীন থাকবে না-প্রধানমন্ত্রী: গণভবন থেকে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট প্রান্তে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভূমিহীনদের ঘর দেয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’ জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তাঁর সরকারের লক্ষ্য হওয়ায় তিনি প্রত্যেককে বাড়ি দেবেন। ‘আমরা চাই প্রতিটি মানুষ বাড়ি, আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ পাবে। তারা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আমরা চাই প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যথাযথ সম্মানের সাথে বসবাস করবে।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না বলে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেয়ার উদ্যোগ নেয়।
সরকার প্রধান বলেন, ‘কেউ ঠিকানা ছাড়া থাকবে না। আমরা তাদের শুধু ঘরই দিইনি, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। তাদের জীবিকার জন্য ঋণও দিয়েছি। তারা এখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগে গৃহহীনদের হাতে বিনামূল্যে আরও ৩৯,৩৬৫টি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করার পাশাপাশি সারাদেশে আরও ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।
গতকাল আরও ৩৯,৩৬৫টি ঘর বিতরণের সাথে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মোট গৃহ বিতরণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫,৮২৭ টি।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট:
গোয়াইনঘাট ঃ গোয়াইনঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, গোয়াইনঘাটে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় (৩য় ও ৪র্থ ধাপ) ১৭০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপহারদাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নওয়াগাঁও আশ্রয়ণে আশ্রয় পাওয়া উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
নওয়াগাঁয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান (বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা), সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া হেলাল, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য সুভাষ দাস, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও এম নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
জৈন্তাপুর ঃ জৈন্তাপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জৈন্তাপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন (ক-শ্রেণি) ’র মুক্তকরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে চারিকাটা ইউনিয়নের বনপাড়া গ্রামে ৪র্থ ধাপে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন ও ৩২জন উপকারভোগীর মধ্যে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো জৈন্তাপুর উপজেলায় শেষ ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন পরবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় শেষ ধাপে উপকার ভোগীদের মধ্যে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠান এবং চারিকাটা ইউপিতে ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-বশিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপা মনি দেবী, জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি ওমর ফারুক, জৈন্তিয়া ১৭ পরগণা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর আবুল মৌলা চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, সুলতান করিম ও কামরুজ্জামান চৌধুরী, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার একে আজাদ ভূইয়া, প্রমুখ।
ফেঞ্চুগঞ্জ ঃ ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ফেঞ্চুগঞ্জকে ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার দেশের ৭টি জেলার ১৫৯টি উপজেলাকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শেষধাপে ১২টি পরিবারকে ভূমি ও গৃহ হস্তান্তরের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হলো এ উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল ঘোষণা শেষে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।
কানাইঘাট ঃ কানাইঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, কানাইঘাট উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাইঘাটে মুজিববর্ষে ৪র্থ ধাপে উপহারের ১৮টি পরিবার ঘর পাওয়ায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো কানাইঘাটে ৪র্থ পর্যায়ে জমিসহ গৃহ হাস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন ও কানাইঘাটকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষে কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।
কোম্পানীগঞ্জ ঃ কোম্পানীগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, কোম্পানীগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় (৩য় ও ৪র্থ ধাপ) ৩৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সারাদেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের দুই শতক জমিসহ আধাপাকা ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।
এ সময় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
গোলাপগঞ্জ ঃ গোলাপগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, গোলাপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের নবনির্মিত ঘরে ঠাঁই হলো ৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ ধাপে নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নান, উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ লুটন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান ও সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু প্রমুখ।
সিলেট সদর উপজেলা ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর চতুর্থ পর্যায়ে সিলেট সদর উপজেলায় ৪৪টি পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
পরে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরি হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আশফাক আহমদ।
বিশ্বম্ভরপুর ঃ বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে বিশ্বম্ভরপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চ্যুয়ালি জাতীয় পর্যায় থেকে দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার ১ম উপজেলা হিসেবে বিশ্বম্ভপুর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন।
শান্তিগঞ্জ ঃ শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শান্তিগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেলেন আরো ৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সকালে দেশব্যাপী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
শান্তিগঞ্জের এফবিআই বিডিভির হলরুমে ঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
তাহিরপুর ঃ তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, তাহিরপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে স্বপ্নের সেমি পাকা ঘর পেলো আরও ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল বুধবার উপকারভোগী পরিবারের কাছে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দোয়ারাবাজার ঃ দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সারা দেশের ন্যায় দোয়ারাবাজারেও চতুর্থ পর্যায়ে স্বপ্নের ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৮৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিতরণকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকারিয়া, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফ মের্শেদ মিশু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেক, থানার ওসি দেবদুলাল ধর প্রমুখ।
নবীগঞ্জ ঃ নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বুধবার সকালে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২৭০টি পরিবারের মধ্যে দলিল হস্তান্তর করেন হবিগঞ্জ জেলা এডিসি মিলু চৌধুরী।
চুনারুঘাট ঃ চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলার ন্যায় চুনারুঘাট উপজেলার ৯৭টি পরিবারের কাছে গৃহসমূহের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।