বিশ্ব যক্ষা দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০২৩, ২:৪০:৪০ অপরাহ্ন
একজন ভালো লোক সহজে অন্যের দোষ খুঁজে পায়না। -স্পারজন
বিশ্ব যক্ষা দিবস আজ। যক্ষা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রতি বছর আজকেন এই দিনে দিবসটি পালিত হয়। ১৮৮২ সালের ২৪ শে মার্চ ডা. রবার্ট কক, যক্ষা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সাল থেকে এই জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪শে মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত হচ্ছে।
যক্ষা একটি পুরনো রোগ। অতীতে যখন এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয় নি,তখন বলা হতো- যার হয় যক্ষা তার নাই রক্ষা। কিন্তু পরবর্তীতে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। বর্তমানে এই রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে এখনও এর প্রকোপ থামে নি। সুদীর্ঘকাল ধরেই যক্ষা বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান সংক্রামক রোগের স্থান দখল করে রেখেছে। এ রোগে বিশ্বে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। বিশেষ করে দারিদ্র্য এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরণের যক্ষার মধ্যে শুধু ফুসফুসের যক্ষাই সংক্রামক। তবে যক্ষা শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এক্ষেত্রে এটি সংক্রামক নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে যক্ষা রোগনির্ণয় সম্ভব। তাই যক্ষা রোগে আতঙ্কিত না হয়ে, ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খেলেই এর নিরাময় সম্ভব। তবে উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, যক্ষা রোগে এখনও প্রচুর মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকের কাছে যক্ষা টিবি হিসেবেও পরিচিত। যক্ষা হলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগটি বেশির ভাগ ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। টিবি সংক্রামক এবং রোগির কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক থেকে নির্গত বায়ুর মাধ্যমে অন্য লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান।
এক্ষেত্রে সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। কারণ সচেতনতার অভাবে অনেক রোগি জানতেই পারেন না যে, তিনি যক্ষার জীবানু বহন করছেন। আশার কথা হচ্ছে, ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও কিছু বেসরকারি সংস্থা দেশে যক্ষার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, সরকার যক্ষা নির্মূল, যক্ষার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ তথা সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষা রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। সর্বোপরি, ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।