যক্ষ্মা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই——ডা. নূর এ আলম শামীম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৩, ৮:১৪:৫৭ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক ঃ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. নূর এ আলম শামীম বলেন, যক্ষ্মা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। একটি সময়ে মানুষ ভাবতো, এ রোগ হলে মানুষ বাঁচে না। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিকল্পে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। স্বাস্থ্যরক্ষায় সবাই সচেতন হলেই এ রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্বাস্থের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সহযোগিতায় সকালে স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে হীড বাংলাদেশ যক্ষা রোগ সচেতনতায় পট গান পরিবেশিত করে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্তের সভাপতিত্বে র্যালী পরবর্তীতে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ আহমদ, শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আরএমও ডা. মিজানুর রহমান, সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহমেদ সিরাজুম মুনির।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের কনসালটেন্ট ডা. শহীদ আনোয়ার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বনিক, ডা. আহমদ শাহরিয়ার, ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়, ডা. স্নিগ্ধা তালুকদার, ডা. সাইমুন নাহার, ডা. ভাসূর ভট্টাচার্য প্রমুখ। দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সহয়োগিতা করে হীড বাংলাদেশ, আশার আলো, বন্ধু, ব্র্যাক বাংলাদেশ, ইউএসএআইডি, নাটাবসহ বিভিন্ন বেসরকারি সামাজিক সংস্থা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ৭৬৮০ জন যক্ষা রোগীকে সনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। এ সময়ে ৪১৮ জন শিশু যক্ষা রোগী যাদের বয়স ১৫ বছরের কম সনাক্ত করা হয়। যক্ষা রোগীদের সেবায় সিলেট জেলায় ২৬টি ডটস সেন্টার ১২টি জেনএক্সপার্ট ল্যাবের মাধ্যমে যক্ষা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ১৯৩৯৫ জন সন্দেহজনক যক্ষা রোগীকে জেনএক্সপার্ট ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ৬১ জনকে এমডিআর রোগী হিসেবে সনাক্তকরে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়।