স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন

রতীশচন্দ্র দাস তালুকদার
১৯৫২ সালের ভাষা সংগ্রাম থেকেই সচেতন বাঙালির মনে স্বাধীনতা ও মুক্তির আকাক্সক্ষা প্রোথিত হয়। মাত্র ৫-৬ বছর পূর্বেও যারা পাকিস্তান আন্দোলনে জানপ্রাণ দিয়ে লড়েছেন, তাদের মধ্যে যারা অপেক্ষাকৃত প্রগতিশীল চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ছিলেন তারা উপলব্ধি করেন, হাজার মাইল ব্যবধানে অবস্থিত দু’টি ভূখ- যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির লোকজন বাস করে, সেখানে শুধুমাত্র ধর্মের ঐক্যের ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র গঠন অবাস্তব। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের অর্থনীতি ধ্বংস করার এবং সেই সাথে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে প্রতিষ্ঠিত করে বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিকভাবে পঙ্গু করার পাঁয়তারা শুরু হয়, তখন দেশপ্রেমিক বাঙালিদের মনে স্বাধীনতার স্পৃহা অংকুরিত হতে থাকে; যা ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে সার্বিক মুক্তিসংগ্রামের পথে নিয়ে যায়। তবে বাংলা সাহিত্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল মোগল আমলে সপ্তদশ শতাব্দীতে। সন্দ্বীপের কবি আব্দুল হাকিম জন্মেছিলেন ১৯২০ সালে। তিনি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় লিখেছিলেন,/ ‘যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।/ সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।/ দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়।/ নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়।
১৮২৪ সালে যশোর জেলার সাগরদাঁড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। প্রথম জীবনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং জন্মভূমি বাংলাকে অবহেলা করে ইংরেজি সাহিত্য সাধনায় তিনি ব্রতী হন, তবে অচিরেই তাঁর বোধোদয় ঘটে এবং অনুতাপে দগ্ধ হয়ে ফ্রান্সের ভার্সাইতে বসে মাতৃভূমি বাংলা ও বাংলাভাষার বন্দনা করে লিখেন- ‘হে বঙ্গ ভা-ারে তব বিবিধ রতন/ তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি/ পরধনে লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ।’
তারপর থেকে বাংলা সাহিত্য সাধনায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখে অসংখ্য কবিতায় মাতৃভূমি বাংলার প্রতি, গভীর মমত্ববোধ ও অনুরাগ প্রকাশ করেছেন।
মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক আরেক কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতায় দেশপ্রেমের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটেছে, তাঁর কবিতাতেই বোধ হয় প্রথম পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আকাক্সক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে/ কে বাঁচিতে চায়?/ দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে/ কে পরিবে পায়?’
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনেক কবিতায় পরাধীনতার আগল থেকে মুক্তির কথা ব্যক্ত হয়েছে। ১৯২২ সালে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি ধুমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসক কবিতাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং কবিকে গ্রেফতার করে রাজদ্রোহের অভিযোগে এক বছরের কারাদ- প্রদান করে। এভাবে ব্রিটিশ শাসনকালে অনেক বাঙালি কবি সাহিত্যিকদের লেখায় বাংলার স্বতন্ত্র অস্তিত্বের আকাক্সক্ষাও প্রকাশ পেয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগের পাশাপাশি অনেক অগ্রগণ্য বাঙালি রাজনীতিবিদ অবিভক্ত বাংলা গঠনেরও প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, যদিও পাকিস্তান আন্দোলনের প্রবল জোয়ারে তা সফল হয়নি।
পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর মুসলিম লীগের প্রগতিশীল অংশটি দল থেকে বেরিয়ে এসে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামক একটি দল গঠন করে যার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীকালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে ঐ দলটি আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে। আওয়ামী মুসলিম লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে খধহফংষরফব বিজয় অর্জন করে। তারা ৩০৯টি আসনের মধ্যে ২২৮টি আসনে জয় লাভ করে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করে। এই মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তবে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পার্টিকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আত্মনিয়োগ করেন। মুসলিম লীগ সরকার, আইয়ুব খানের সামরিক সরকার এবং সর্বশেষ ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৮ বার গ্রেফতার করে কারাগারে অন্তরীণ রাখে। ২৩ বছরের পাকশাসনকালের মধ্যে প্রায় ১৩ বছর তিনি কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বাঙালির মুক্তিসনদ ছয়দফা ঘোষণা করেন এবং ছয়দফা আদায়ের লক্ষ্যে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলেন। সরকার তখন তাঁকে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়’ অভিযুক্ত করে কারাগারে প্রেরণ করে এবং তথাকথিত দেশদ্রোহিতার মামলায় বিচার কাজ শুরু করে। তবে জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মুখে আইয়ুব সরকার শেখ মুজিবুর রহমান সহ অভিযুক্ত সবাইকে মুক্তি প্রদানে বাধ্য হয়। ইয়াহিয়া সরকার ১৯৭০ সালে খবমধষ ভৎধসব ড়িৎশবৎ ড়ৎফবৎ এর অধীনে প্রত্যক্ষ সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে। খঋঙ এর একটি ভালো দিক ছিল ঞড়ি ঁহরঃ বাতিল করে জনসংখ্যার ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ। যার ফলে ৩১৩ আসনের জাতীয় পরিষদের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে পড়ে ১৬৯ আসন এবং পশ্চিম পাকিস্তানের ৪টি প্রদেশের ভাগে মোট আসন নির্ধারিত হয় ১৪৪টি। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় সবগুলো আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে, এটা খুব সম্ভব ইয়াহিয়া খান প্রত্যাশা করেননি, কিন্তু বাস্তবে যখন ১৬৭টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ এককভাবে জয়লাভ করে তখনই ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী মিলে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন।
১৯৭০ সালের ১লা ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঘোষণা দেন, এ নির্বাচন হবে ছয় দফার প্রশ্নে গণভোট। তিনি এর আগে ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু দিবসে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘একসময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে বাংলা কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ঘোষণা করিতেছি- আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশটির নাম হইবে পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ’। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ৩রা জানুয়ারি ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্সে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যদি কেউ জনগণের রায়ের বিরোধিতা করে তবে রক্তক্ষয় হবে এবং যে অভ্যুত্থান ঘটবে তা কেউ রোধ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, শাসনতন্ত্র ছয়দফার ভিত্তিতে প্রণীত হবে এবং তাতে এগারো দফার প্রতিফলন থাকবে।’ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আজ স্বীকৃত। তিনি সেদিন জাতির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
বঙ্গবন্ধুর বাগ্মিতা সম্পর্কে ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল ‘নিউজ উইক’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উর্দু, বাংলা, ইংরেজি পাকিস্তানের এ তিনটি ভাষাতেই সাবলীল, মুজিব নিজেকে মৌলিক চিন্তাবিদ হিসেবে ভান করেন না। তিনি প্রকৌশলী নন, রাজনীতির কবি।’
৭ই মার্চ এর ভাষণের সমালোচনা করে অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতা ঘোষণা করলে দেশে এত লোকক্ষয় হতো না এবং বাংলাদেশও শত্রুমুক্ত হতো। একটি জটিল অঙ্কের এমন সহজ সরল সমাধান আসলে অজ্ঞতাপ্রসূত ও বিভ্রান্তিমূলক। ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষিত হলে রেসকোর্স ময়দান সেদিন রক্ত¯্রােতে ভেসে যেতো আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সমূলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো এবং সেই সাথে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নসাধও ধুলায় মিশে যেতো। এছাড়া বঙ্গবন্ধু বিশ্বসমাজে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হতেন। সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও জুলফিকার আলী ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফল বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেও তা হঠাৎ করে বিনা কারণে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন। তারপর আওয়ামী লীগের ছয়দফা ও অন্যান্য দাবি নিয়ে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ঢাকাতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে প্রেসিডেন্ট প্রহসনের আলোচনা চালিয়ে যান। সেনাবাহিনীকে ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ চালানোর নির্দেশ প্রদান করে ঐ দিনই চুপিচুপি ঢাকা ত্যাগ করে ইসলামাবাদ ফিরে যান। ২৫ মার্চ ভুট্টো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে ধরনের স্বায়ত্তশাসন চাচ্ছে তাকে আর প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন বলা চলে না। ওদের দাবি তো স্বায়ত্তশাসনের চেয়েও বেশি, প্রায় সার্বভৌমত্বের কাছাকাছি’। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মোতাবেক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৩ মার্চের ‘কালোরাতে’ ঢাকার বুকে যে পৈশাচিক উন্মত্ততা চালিয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে তুলনারহিত। এক রাতেই ঢাকায় কয়েক হাজার সাধারণ বাঙালি, ইপিআর ও পুলিশ সদস্যকে তারা হত্যা করেছে। পুরান ঢাকার হিন্দু অধ্যুষিত পাড়াগুলো এবং অনেক বস্তি পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। মধ্যরাতে ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পূর্বেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা সম্বলিত একটি তারবার্তা দেশের সকল মহকুমা ও জেলা সদরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বর্তমানে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করেন। তবে বিশিষ্ট আমলা ও প্রখ্যাত চিন্তাবিদ ডঃ আকবর আলি খানের ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি ‘প্রথমা প্রকাশন’ থেকে প্রকাশিত ‘পুরানো সে দিনের কথা’ বইয়ের ২৫২ ও ২৫৩ পৃষ্ঠায় ঐ তারবার্তার পূর্ণ ভাষ্য পাওয়া যায়। সে তারবার্তায় বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। তিনি আরও বলেছেন, পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানার ইপিআর হেডকোয়ার্টারে আক্রমণ করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
ডঃ আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘একই তারবার্তা সব জেলা প্রশাসক, মহকুমা প্রশাসক এবং সব দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।’
এছাড়া অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর, ১৯৯৯’ এর ৬৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলাম। অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনার জন্য সংগ্রাম কমিটির প্রধান দপ্তর স্থাপন করা হয়েছিল চট্টগ্রাম শহরে, স্টেশন রোডের ডাকবাংলোয়। ২৬ মার্চ দুপুরে সেখান থেকে আমাকে টেলিফোন করেন এডভোকেট রফিক বলেন, জরুরি বার্তা আছে লিখে নিন এবং ক্যাম্পাসে প্রচারের ব্যবস্থা করুন। লিখে নিলাম বঙ্গবন্ধুর ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’। তিনি আরও লিখেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সেটাই পাঠ করেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে। ২৭ মার্চ মেজর জিয়া স্বকন্ঠে ঘোষণা দেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওই বেতার কেন্দ্র থেকেই। আমি শুনিনি, অনেকেই শুনেছিলেন। ২৮ মার্চ জিয়াউর রহমান সংশোধিত ঘোষণা পাঠ করেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে।’ মেজর জিয়ার ঘোষণা আমি স্বকর্ণে রেডিওতে শুনেছি। এ ঘোষণা পাঠ বাঙালি জাতিকে ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করেছিল। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়ার ঘোষণার গুরুত্বকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, এমসি কলেজ, সিলেট।