লিডিং ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত রাখতে শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ত করতে হবে—দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মার্চ ২০২৩, ৫:৪৬:৩০ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি এবং দেশ ও দেশের গান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সকাল সাড়ে ১১টায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দানবীর ড. রাগীব আলী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, অসংখ্য শিক্ষা, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করে রাখতে শিশু, কিশোর এবং তরুণদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা আজ স্বাধীন তাই দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে আমরা সত্যই বিজয়ী আর এই বিজয় এবং উন্নয়নের জন্যই আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি এবং এর মর্যাদা আমরাই রক্ষা করব। সেই জন্য এদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উন্নয়নে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে বয়স ৩ থেকে ৬ বছর ইচ্ছামতো বিষয়ে প্রথম হয়েছে সিলেটের চারুপাঠ চারুবিদ্যালয় ও আনন্দনিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থী আরহাম মানসুর হোসাইন। দ্বিতীয় হয়েছে ইউরো কিডস স্কুলের সাফওয়াত মারজূকা এবং তৃতীয় একই স্কুলের ফাইজা হোসেন ফিহা।
স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিষয়ে ‘খ’ গ্রুপে বয়স ৬ থেকে ৯ বছর প্রথম স্কলার্সহোম স্কুলের শিক্ষার্থী অদ্বিতীয়া পাল, দ্বিতীয় চারুপাঠ চারুবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত নাবিহা এবং তৃতীয় শাহজালাল জামেয়ার শিক্ষার্থী ইউশা আহমেদ।
আবৃত্তিতে প্রথম স্কলার্সহোম স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিমুগ্ধ পাল এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবপ্রিয় কুমার নাথ। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে দেবপ্রিয় কুমার নাথ।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ফারহানা হক এবং আযীমা তাবাস্সুম, কবিতা আবৃত্তি এবং দেশাত্মবোধক গানের বিচারক হিসেবে ছিলেন মো. কাজী জাহিদ হাসান এবং এনাম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিষয়ে আমাদের প্রাপ্তি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমান।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সেতু দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ।