বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১:৫০:৪১ অপরাহ্ন
লক্ষ্যের প্রতি স্থিরবদ্ধ থাকা কৃতকার্য হওয়ার গোপন কথা। -ডিজরেলি
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি বেড়েছে। বিভিন্ন কৌশলে চুরি হচ্ছে ট্রান্সফরমার। আর আমাদের দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমে এই ট্রান্সফরমার চুরি একটি বড় বিপর্যয়। দেশের বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেমে বর্তমানে ছোট-বড় ৩০ থেকে ৪০ লাখ ট্রান্সফরমার রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফরমার আছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আরইবি’র অধীনে। আরইবির ট্রান্সফরমারগুলোর বেশিরভাগ ছোট ছোট সিলিন্ডারের মতো হওয়ায় সেখানে চুরির ঘটনা বেশি।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার নিয়ে চলছে ভয়ংকর কারসাজি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করছে একটি শক্তিশালী চক্র। সেগুলো রিসাইক্লিং করে নতুন মোড়কে ফের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। চুরি করা ট্রান্সফরমার ক্রয় করছে উৎপাদনকারি কোম্পানি ও রিপেয়ারিং ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট। সঙ্গে আছে পল্লী বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির অসাধু লোকজন। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, চুরি করে আনা এসব স্পেয়ার্স পার্টস দিয়ে নতুন ট্রান্সফরমার তৈরি হওয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যার কারণে ছোট আঘাত, পাখির ঝাপটা কিংবা হালকা ঝড়-বাতাসে বিস্ফোরিত হচ্ছে ট্রান্সফরমার। জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের হাত থেকে ট্রান্সফরমার রক্ষার জন্য গ্রাহকরা কোথাও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখছে। কোথাও বসিয়েছে পাহারা। দেশের ১৪টি স্থানে গত এক বছরে অন্তত ৪১৯টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার ঘটেছে। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে নতুন ট্রান্সফরমার কেনার টাকা গ্রাহকদেরই পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাছাড়া, ট্রান্সফরমার উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ী কম দামে চুরি করা ট্রান্সফরমার ক্রয় করে। এগুলোতে নতুন করে রং করে নিজেদের নামের নেমপ্লেট লাগিয়ে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে।
ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগেরই অসাধু লেকজন অনেক সময় এই অপকর্মে জড়িত থাকে। প্রথমে এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এব্যাপারে সাধারণ মানুষেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।