জুড়ীতে পাকা সড়কে হঠাৎ ফাটল নদীগর্ভে বিলীনের আশংকা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯:৩৩ অপরাহ্ন
জুড়ী (মৌলভীবাজার) থেকে সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নে কণ্ঠিনালা সড়ক সেতু-রাবারবাঁধ প্রকল্প পাকা সড়কের গরেরগাঁও থেকে রাবার ড্যাম পর্যন্ত এলাকার বেশ কিছু স্থানে বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এতে ওই স্থানের কিছু জায়গা দেবে গেছে। বর্তমানে ওই সড়ক দিয়ে যান ও পথচারীদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কণ্ঠিনালা নদীর পশ্চিম পাশের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে কণ্ঠিনালা সেতু-রাবারবাঁধ প্রকল্প সড়কটি গেছে। সড়কের শুরুর প্রান্তে গরেরগাঁও এলাকায় প্রায় ৫০ ফুট জায়গা ভেঙে দেবে গেছে। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। ওই সড়ক দিয়ে স্থানীয় গরেরগাঁও, পশ্চিম বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের অন্তত পাঁচ হাজার লোক প্রতিদিন উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য চলাচল করেন। এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করেন। এছাড়া, এই সড়ক ব্যবহার করে স্থানীয় এলাকার লোকজন হাকালুকি হাওরে কৃষিকাজের জন্য যাতায়াত করেন। হাওরে এখন বোরো ধান ও রবিশস্যের আবাদ চলছে। হাওরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের জমি রয়েছে। ফসল তোলার পর লোকজন তা গাড়িতে করে ওই সড়ক দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর রহমান, ফারুক মিয়া, খাইরুল ইসলামসহ আরো পাঁচ-ছয় জন ব্যক্তি বলেন, এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। হঠাৎ করে চার-পাঁচ দিন আগে সড়কের ওই স্থানে ফাঁটল দেখা দিলে এ সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলের পাশাপাশি দোকানপাট ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। যত সময় যাচ্ছে ফাটল আরো বাড়ছে। এ অবস্থায় সড়ক দেবে যায়। স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যান চলাচল না করতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে চালকদের অনুরোধ করা হলেও অনেকে নানা কাজে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন।
এদিকে, ফাটলের খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে ও এলজিইডির প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস সড়কটি পরিদর্শনে যান। সড়কটি দ্রুত রক্ষা করা না গেলে হাকালুকি হাওরের কৃষকদের কৃষিপণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস জানান, সড়কের ওই স্থানের নিচের মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সড়কটি মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে বুধবার সড়কটি পরিদর্শন করেছি। এটি রক্ষায় ১২০ মিটার সড়ক মেরামত কাজের জন্য বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটি অনুমোদন হলে খুবই দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।