নগর জুড়ে ঈদের কেনাকাটা শুরু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ৫:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন
আহমাদ সেলিম :
শিশুর চকলেট, দুধ-ডিম কিংবা ডাল, লেবু, কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে সব খাবারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবু কি থেমে আছে জীবন, ঈদের আনন্দ, নতুন পোশাক কিনার ধুম? না, শত কষ্টের মধ্যেও মানুষ হাসতে চায়, একটু আনন্দ নিয়ে বাঁচতে চায়। সেই আনন্দের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মানুষের মুখরতা বাড়ছে শহরজুড়ে। দোকানে দোকানে বাড়ছে ঈদের ভিড়।
রমজান মাসের রহমতের দশদিন শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে মাগফিরাত। সেই হিসেবে এখনো ঈদের বাকি অন্তত সতেরদিনের মতো। তবে ইতোমধ্যে কেনাকাটার ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছে ঈদ খুব নিকটবর্তী। শহরের সবগুলো বিপণীবিতানও সেজেছে নতুন সাঝে। বিপণীবিতানের মতো প্রতিটি দোকারঘরও ঈদকে রাঙাতে প্রস্তুত। জিন্দাবাজার ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটির জেনারেল ম্যানেজার মলয় দত্ত মিঠু জানান, আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ব্যবসাও জমে উঠেছে। গাছে গাছে নতুন পাতার মতো সবগুলো দোকানে নতুন পোশাকের পসরা। শুধু পোশাক নয়, নারী পুরুষ, শিশু-কিশোর থেকে তরুণ-তরুণী-সব বয়সী মানুষকে মাথায় রেখে দোকানগুলোর প্রস্তুতি বিন্যাস হয়েছে। নতুন ঝলমল বাহারী গহনা, কসমেটিক, থ্রিপিস, টিশার্ট, পাঞ্জাবী, সেলোয়ার কামিজ, শাড়ি- মন কাড়ছে ক্রেতাদের।
ঈদের পোশাকের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে গণ্য হয় বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া এলাকার বিপণীবিতানগুলো। গতকাল মঙ্গলবার সেই এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রীতিমতো কেনাকাটার ধুম। একইভাবে অভিজাত ফ্যাশন হাউস আড়ং, মাহা থেকে শুরু করে নয়াসড়ক জেলরোড সড়কের সব ফ্যাশন হাউসে প্রথম রমজান থেকেই ঈদের কেনাকাটা বেড়েছে। মাহা শপিংমলে মায়ের জন্য শাড়ি আর মেয়ের জন্য রেডি থ্রি-পিস কিনেছেন আয়েশা আক্তার। কথা হলে এই তরুণী বলেন, ‘প্রতিবছর চেষ্টা করি ঝামেলামুক্ত ঈদের কেনাকাটা করতে। তবে সেটি এবার হলো না। মানুষ পুরোদমে কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে।’
যারা কাপড় কিনে দর্জিপাড়ায় গিয়ে নিজের পছন্দমতো সালোয়ার-কামিজ, দোপাট্টা, প্যান্ট কিংবা শার্ট তৈরি করেন তাদেরকে ভিড় করতে দেখা গেছে ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, মধুবন, শুকরিয়া, লতিফ সেন্টারসহ থানকাপড়ের দোকানগুলোতে। আগেভাগে কাপড় কিনে সেলাইয়ে না দিলে ঈদের আগে পোশাক পেতে বেগ পেতে হয়, তাই এই দৌঁড়ঝাঁপ, এই ব্যস্ততা।
নারীদের ফ্যাশনের অন্যতম অনুসঙ্গ চুড়ি। সেই দোকানগুলোতেও ভিড়ের কমতি নেই। আল হামরা শপিং সিটির ‘পারফিউম প্লাস’ এর কর্ণধার ও ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইর্শাদ আলী বলেন, ‘আমার দোকানে নারীদের দেশি বিদেশি চুড়ি থেকে শুরু করে সবধরনের কসমেটিকস সামগ্রী রয়েছে। ব্যবসাও মন্দ হচ্ছে না। আশা করছি আরো ভালো হবে।
নারীদের কাছে পরিচিত অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন হাউস রায়নগর সেবক (দাদাপীর সড়ক) এলাকার ‘থ্রি-সিস এক্রক্লুসিভ’ এর কর্ণধার ফেরদৌসি আক্তার। কথা হলে তিনি জানান, ‘গতবছরের চেয়ে এবারো দেশি-বিদেশি পোশাক আমাদের কালেকশনে রয়েছে। তবে এখনো ব্যবসা পুরোদমে জমে ওঠেনি। আশা করছি পনেরো রমজান শেষে জমে উঠবে।’