সাদা পাথর পর্যটন ঘাটের দরপত্রের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ৫:৪৮:২১ অপরাহ্ন

আ’লীগের দুই পক্ষের মারামারি : আহত ২
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কোম্পানীগঞ্জে ‘সাদা পাথর পর্যটন ঘাট’-এর দরপত্র নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মারামারির ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন (৫২) ও তার ভাই কামাল হোসেন (৪০)। তাদেরকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিবদমান দুই গ্রæপের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিলেট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
এক পক্ষের নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক অস্থায়ী চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, ‘সরকারি মূল্যের পাশাপাশি সমঝোতায় অতিরিক্ত ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় পর্যটন ঘাট ইজারা নেয় কাজী মোস্তাফিজ গ্রæপ। অতিরিক্ত এই টাকা ব্যাংকের পে-অর্ডারসহ যাদের সিডিউল রয়েছে, তাদেরকে দেওয়ার কথা। কিন্তু, ইউপি চেয়ারম্যান আলফু এবং কালা চেয়ারম্যান সব টাকা বন্টন না করে নিজেরা মেরে দিতে চায়। প্রতিবাদ করায় তারা আমার সাথে দ্ব›েদ্ব জড়ায়। এ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তারা আমার দুই ভাইকে মারধর করেছে।’
অপরপক্ষের নেতা তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া জানান, একটি বিষয়ে নিয়ে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। এটি সাথে সাথে শেষও হয়। এর মধ্যেই ইয়াকুব আলীর লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিষদের মাঠে আসায় অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এদিকে, ঘটনার নিষ্পত্তি করতে বুধবার রাত ৭টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আহবানে পরিষদের সভাকক্ষে বৈঠক হয়। বৈঠকে গোয়াইনঘাট সার্কেলের এএসপি প্রবাস কুমার সিংহ, উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, ওসি হিল্লোল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক অস্থায়ী চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল মিয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য মুরব্বীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয়পক্ষকে আর বিবাদে না জড়াতে অনুরোধ করা হয়। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। জানা গেছে, গত ১২ মার্চ সাদা পাথর পর্যটন ঘাট ও ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর গাড়ি পার্কিং এলাকার দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র জমা দেওয়া তিন জনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার দরপত্র জমা দেন। দরপত্র-প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্রের দাবি- সাদা পাথর পর্যটন ঘাটের ইজারা প্রদানকে কেন্দ্র করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।