‘ইউনিক আইডি-র শান্তিগঞ্জ মডেল সারাদেশে প্রবর্তিত’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ৩:২৫:৩২ অপরাহ্ন
সুনীল সিংহ :
ইউনিক আইডি’র ‘শান্তিগঞ্জ মডেল’ সারাদেশে প্রবর্তিত হচ্ছে মর্মে দাবি করেছেন সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সিনহা। নিজেকে এ আইডি’র প্রবর্তক ঘোষণারও দাবি তুলেছেন এ কর্মকর্তা।
এ কর্মকর্তার দাবি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি প্রথম চালু হয় ২০১৬ সালে। সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (বর্তমানে শান্তিগঞ্জ) উপজেলায় ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ইউনিক আইডি চালু করা হয়। এ ইউনিক আইডি’ই সম্প্রতি সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় সমূহে চালু হয়েছে বলে জানান তিনি।
২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি শান্তিগঞ্জে এ ইউনিক আইডি চালুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পরিমল চন্দ্র সিনহা মূলত একজন শিক্ষক। তিনি ২০১৬ সালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি নতুন ও সময়োপযোগী কিছু করার চেষ্টায় ছিলেন। তার চাকুরী জীবনও শেষের দিকে ছিল। তার মনে সবসময় চাকুরী জীবনে কিছু একটা করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।
করলেনও তাই। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী থেকে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি চালু হয়। এতে করে উপজেলার প্রতিটি শিশুর (শূন্য থেকে ১৫ বছর) একটি কোড চলে আসে, যাতে করে একই শিশু পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার গণনায় না আসে। এক আইডি একজন শিশু, এ প্রথা চালু হয়।
পরিমল চন্দ্র সিনহার জন্ম ১৯৫৮ সালে কমলগঞ্জ উপজেলার কানাইদাসী গ্রামে। শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী পরিমল ১৯৭৩ সালে আদমপুরস্থ এম এ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৬ সালে মৌলভীবাজার পিটিআই থেকে সি- ইন এড পাস করেন। ১৯৭৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারী তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার বহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে যোগ দেন।
এরপর তিনি নগরীর মদন মোহন কলেজ এর নৈশ শাখা থেকে ১৯৮৬ সালে বিএ পাস করেন। ১৯৮৯ সালে কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড পাস করেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএড পাস করেন।
চাকুরী জীবনে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে তিনি কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে সম্পৃক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ প্রকল্প ‘এ-টু-আই’-এর সাথে। প্রাথমিক শিক্ষায় ‘ডিজিটাল শিশু জরিপ ও শতভাগ ভর্তি’ প্রকল্পে দায়িত্ব নেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার।
এসময় এ প্রকল্প সফল হলে তা সারা দেশে চালু করা হবে মর্মে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন। প্রকল্প হাতে পেয়েই শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সিনহা কাজ শুরু করেন। এতে শতভাগ সফলও হন। পরবর্তীতে তার এ কর্মযঞ্জ সারাদেশে ইউনিক আইডি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
এ কার্যক্রমের কারণে তিনি বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ২০১৬ সালে ইউএসএআইডি, ২০১৯ সালে ইনোভেশন শোকেসিং থেকে সনদ প্রাপ্ত হন।