সিলেটে মতবিনিময় সভায় শ্যামল দত্ত
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রেস কাউন্সিলে যাবার পরামর্শ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ৫:০৩:০৫ অপরাহ্ন

সিলেট-২ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: অরুপ রতন চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ থাকলে প্রথমে প্রেস কাউন্সিলে যেতে হবে। এরপর যেতে হবে অন্যান্য স্থানে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মেনে সাংবাদিকতা হবে না -উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আইনের কারণে সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি সাংবাদিক বিরোধী আইন।
গতকাল বুধবার সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানস আয়োজিত ‘মাদকাসক্তি প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভ‚মিকা ও আগামী নির্বাচন শীর্ষক মতবিনিময় ও ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ভোরের কাগজের সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য প্রয়োজন আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ মানুষ। তিনি বলেন, আমরা এখন পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলের যুগে বাস করছি। তবে, মাদকসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
মাদকসেবীরা অত্যন্ত শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ চক্র এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) বিজ্ঞাপন দিয়ে মাদক বিক্রি করে। তারা জেলে গেলেও আইনের ফাঁক ফোঁকরে বেরিয়ে আসে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এমনটি হচ্ছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের নিকট অনেকটা অসহায়।
শ্যামল দত্ত মাদক নিয়ন্ত্রণে এমপি নির্বাচনে প্রার্থীদেরও ডোপ টেস্ট করার বিধান রাখার তাগিদ দেন।
তিনি আরো বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে হলে মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি করতেই হবে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে নিজেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ঘোষণা করে অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। এবার নিজের এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, দিনদিন তরুণদের মধ্যে মাদক সেবনের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে সিগারেট সেবনে আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। মাদকাসক্তের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। ৩০ ভাগ চালক মাদকাসক্ত। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হবে। এ জন্য জনপ্রতিনিধিদের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ।
সংগঠনের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মিহির মোহন ও ভোরের কাগজের সিলেট ব্যুরো প্রধান ফারুক আহমদের সার্বিক পরিচালনায় এবং শর্মিলা দেব পূরবী ও আয়শা মুন্নীর যৌথ সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, মানস সিলেটের প্রধান উপদেষ্টা মুহিবুর রহমান কিরণ। আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, জেসিস সভাপতি এটিএম বদরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নুর ও ইকরামুল কবির, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) হেলাল উদ্দিন, বাকবিশিস সিলেট জেলা সভাপতি অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, দৈনিক ইত্তেফাকের সিলেট ব্যুরো প্রধান হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক বাংলার সিলেট ব্যুরো প্রধান দেবাশীষ দেবু, অধ্যাপক কাশমির রেজা, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, প্রভাষক তপন চন্দ্র পাল, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ আশরাফুল আলম নাসির।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা মানস’র সভাপতি হেলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আহবাব মোস্তফা খান, খালেদ আহমদ, সজল ঘোষ, এএইচএম ফিরোজ আলী, মিছবাহ উদ্দিন রনি, রোটারিয়ান রফিকুল ইসলাম, বিপুল, মানস সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মো. লালা মিয়া, সন্দীপন, ডা. মো. ফরিদ আহমদ, মো. আকদ্দুছ আলী, সুমন বিপ্লব, আজাদ আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন, হৃষিকেশ রায় শংকর, খালেদ আহমদ, আনন্দ টিভি প্রতিনিধি টুনু তালুকদার, বাংলা টিভির আলমগীর হোসেন, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম মহসিন, সুহেল আহমদ, সুহেল মিয়া প্রমুখ।