হৃদরোগ-ক্যান্সারের টিকা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১১:১৬ অপরাহ্ন
জীবনের সবচেয়ে বড় জয় হলো মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন। -নাহিদ নোমান।
মানবজাতির জন্য একটি সুসংবাদ। দুটি ঘাতক ব্যাধির প্রতিষেধক টিকা আসছে। যে রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই হতো শেষ পরিণতি, সেই রোগের প্রতিরোধের ‘উপায়’ বের হচ্ছে। ক্যান্সার ও হৃদরোগের টিকা বাজারে আসছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক কোম্পানি মডার্না বাজারে আনবে এই টিকা। কোম্পানিটি ২০৩০ সালের মধ্যেই এই দুটি রোগের টিকা বাজারজাত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ।
প্রতি বছর সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যায় ক্যান্সার হৃদরোগে। গবেষকদের মতে, বিশ্বে প্রতি বছর কমপক্ষে দশ মিলিয়ন ক্যান্সার রোগি সনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন মারা যায়। বিশ্বব্যাপি বর্তমানে ক্যান্সার রোগে মানুষের মৃত্যুর হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। যার মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগির সংখ্যা সবচাইতে বেশি। আমাদের দেশে প্রতি এক লাখে ২৬০ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিকমতো উদ্যোগ না নিলে ২০৫০ সালে প্রতি এক লাখে এক হাজার ১৫০ জন মারা যেতে পারে। বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্যান্সার রোগি প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে মারা যায়। দেশে ক্যান্সার রোগির মৃত্যুর হার প্রায় আট ভাগ এবং এই সংখ্যা ২০৩০ সালে ১৩ ভাগে উন্নীত হবে। একইভাবে দেশে হৃদরোগির সংখ্যাও বাড়ছে। আর গ্রামের তুলনায় শহরে হৃদরোগের প্রকোপ চার গুণ বেশি। হৃদরোগের বড় কারণ পেটে চর্বি জমা বা স্থুলতা। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণেও বাড়ছে হৃদরোগি। হৃদরোগ প্রতিরোধে শৈশব থেকেই সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেশে বছরে দুই লাখের বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। শহরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও স্থূলতা হৃদরোগের প্রধান কারণ।আরও শংকার বিষয় হলো, গ্রামেও বাড়ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস। কারণ, আগে গ্রামের মানুষ শারীরিক পরিশ্রম বেশি করতেন, কিন্তু বর্তমানে সেই অভ্যাস অনেকেরই নেই।
সবকিছু পরে,বর্তমানে এই দুই রোগের প্রতিষেধক টিকার ব্যাপারে মানব জাতি অবশ্যই আশায় বুক বাঁধবে। তবে এর কার্যকারিতার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তাছাড়া এই টিকার দাম বেশি থাকায় উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারবে না বলে শোনা যাচ্ছে। অবশ্য বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু হয়েছে ক্যান্সার টিকা। আমরা এর সফলতায় আশাবাদি। সেইসঙ্গে টিকা যাতে সর্বসাধারণেন জন্য সহজলভ্য হয়, সেটাই বড় কথা।