দুর্যোগের ভয়ে হাকালুকি হাওরে আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন বোরো চাষীরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ৫:০৫:১৭ অপরাহ্ন

সুশীল সেনগুপ্ত, কুলাউড়া অফিস : মৌলভীবাজার জেলার খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত হাকালুকি হাওরের আধাপাকা বোরো ধান প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ে চাষীরা তড়িঘড়ি করে কাটতে শুরু করেছেন। একদিকে শ্রমিক সংকট; অপরদিকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে নিদারুণ কষ্টে ধানকাটা অব্যাহত রেখেছেন বোরো চাষীরা।
হাওরের বোরো চাষী মোহাম্মদ আলী শামীম, মাহবুব হাসান জসিম, পংকি মিয়া, নাজিম উদ্দিন, অমল মালাকার ও কনর মিয়া জানান, ব্রি-২৮,ব্রি-২৯,ব্রি-৮৯ প্রভৃতি ধানে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে হাওরের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ২০১৭ সালের বন্যার কথা চিন্তা করে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে ফেলছে। ঐ সময় কিছুদিন কাঠ-ফাটা রোদের পর প্রবল বর্ষণ হয় এবং মাঠের পাকা ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
হাকালুকি হাওর তীরের ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন জানান, রোগের ফলে বোরো চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অনেকের সারা বছরের খোরাক তো দূরের কথা; ফসল ফলানোর ব্যয় মিটানোও সম্ভব হবে না। অনেক চাষী মাঠের ধান কাটছে না। মাঠের ধান মাঠেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে।
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন ও কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেন ব্লাস্ট রোগে ধানের ক্ষতির কথা স্বীকার করে তারা জানান, শুধুমাত্র ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ এর বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই বছর কুলাউড়া উপজেলায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৫৫২০ হেক্টরে। প্রথম দিকে ধানের ফলন ভালো হলেও শেষ ভাগে ব্লাস্ট রোগে অনেক কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। আধা পাকা ধান কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০-৩০ ভাগ ধান কাঁচা থাকলেও কাটার পর এইগুলো তীব্র গরমে পেকে যাবে।