সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক
ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশের তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৬:২৬ অপরাহ্ন
ইউনুছ চৌধুরী : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেট অংশে দুর্ঘটনা রোধ করে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিলেট হাইওয়ে পুলিশ। এজন্য হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম, সাদা পোষাকে গোয়েন্দা টিমের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টও বসানো হবে। এ লক্ষ্যে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
সিলেট রিজিওন হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি চলাচল করে। ঈদে এই সংখ্যা দ্বিগুণ অর্থাৎ ৬ থেকে ৭ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। এসময় সিলেটে পর্যটকদের সংখ্যাও বিপুল হারে বৃদ্ধি পায়। মহাসড়কে বাড়ে গাড়ির চাপ। এসময় দুর্ঘটনার আশংকাও বেশি থাকে। ঈদ যাত্রা যাতে নিরাপদ হয়-সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, গাড়ির ফিটনেস ও চালকদের যোগ্যতা যাচাই, ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণসহ মাহড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় বসানো হবে চেকপোস্ট। এছাড়া, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সংগ্রহ করতে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা টিম এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মোবাইল টিম কাজ করবে।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমন চন্দ্র দেব বলেন, মহাসড়কে যাতায়াত নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। হাইওয়েতে চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণ, বিপজ্জনক ওভারটেকিং না করা, মোটরসাইকেল যাত্রীদের হেলমেট ব্যবহারসহ আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে, ঈদ উপলক্ষে মানুষের যাতায়াত এখনো শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। দু’একদিনের মধ্যে মানুষের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। দেশের একটি প্রধান বাস পরিবহন গ্রুপের সিলেটের প্রতিনিধি জানান, এখানে মানুষের চাপ কম। প্রতি আধ ঘন্টা পরপর গাড়ি থাকলেও যাত্রী না থাকায় এক ঘন্টা পরপর ছাড়তে হচ্ছে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবির পলাশ জানান, ঈদে যাত্রী পরিবহনের জন্য যথেষ্ট গাড়ি রয়েছে। এখানে ঈদ যাত্রীদের চাপ বাড়েনি। তিনি বলেন, প্রায় সময় তাদের বিরুদ্ধে ঈদে ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ করা হয়। বরং ঈদ ছাড়া তারা যেহেতু নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া এবং ফিরে আসার সময়ে যাত্রী পায়; তখন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়ায় যায়। ঈদের কোন কোন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরে ফিরে আসার সময় যাত্রী পায় না বলে তখন তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই রাখেন। সিলেট থেকে কোন অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয় না। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক সমিতি খুবই সতর্ক বলে জানান তিনি।
হাইওয়ে পুলিশ, সিলেট রিজিওনের সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, সিলেট-ঢাকা হাইওয়ের সিলেট থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত তাদের কর্ম এলাকায় মানুষের ঈদে যাতায়াত নিরাপদ করতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে, থাকবে মোবাইল টিম এবং সাদা পোষাকে গোয়েন্দা টিম। এছাড়া, মহাসড়কে ইতিমধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ঈদের পরেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মহাসড়ক নিরাপদ করতে তিনি চালক, যাত্রী, পথচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।