তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আগ্রহী ———- হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৩, ৩:৫৬:০৯ অপরাহ্ন
নূরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর থেকে: ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশনসহ আমাদের সবক’টি মিশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সুধীজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-গুয়াহাটি’তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ দিল্লী হাই কমিশনের কমার্শিয়াল মিনিস্টার ড. এ কে এম আতিকুল হক, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া, ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের উপ-কমিশনার শামীমুল আলম, সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আবু সুফিয়ান, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি তাহমিন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পযর্টন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেট-ডাউকি-শিলং-হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামসহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা তামাবিল, ভোলাগঞ্জ, সুতারকান্দি স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিভিন্ন পণ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে রপ্তানীর বিষয়ে হাই কমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ও স্বাভাবিক রাখতে এবং সরকারী রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সবক’টি স্থলবন্দরকে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছে। তামাবিল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানীকৃত মালামাল মজুদ রাখা ও পরিবহন সুবিধায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তিনি ভারত মিশনের সহায়তা কামনা করেন। সিলেটের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং ভারতীয় পর্যটক আগমনে আমাদের আরো কাজ করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন । তিনি শিলচর সহ বরাক ভ্যালীর মানুষের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও আহবান জানান। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামসহ সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোর সাথে রপ্তানিমুখি ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়াতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার গোয়াইনঘাট (সার্কেল) প্রবাস কুমার সিংহ, গেয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল, তামাবিল সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মো: জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার পরিচালক সারোয়ার হোসেন (ছেদু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি), আব্দুল করিম রাসেল, তামাবিল ইমিগ্রেশন (ইনচার্জ) এসআই রনু মিয়া, ব্যবসায়ী সৈয়দ শামীম আহমদ। এছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরের অন্যান্য স্টেক হোল্ডার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।