সিলেট চেম্বারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা
ব্যবসাবান্ধব নগরী হিসেবে সিলেটকে দেখতে চাই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৩, ৩:৩৪:০৪ অপরাহ্ন
নির্বাচিত হলে সার্বিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাবো ঃ আনোয়ারুজ্জামান
ডাক ডেস্ক: ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে বিশাল ব্যয়ভার নির্বাহে ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাববন্ধতা, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের নিবন্ধন প্রদানে অসহনীয় পর্যায়ে ফি বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ নাজেহাল হয়েছেন। সিলেট নগরীকে একটি ব্যবসাবান্ধব নগরী হিসেবে দেখতে চান সিলেটের ব্যবসায়ীরা। আগামী দিনে যিনি মেয়র হবেন তাকে এসব অনিয়ম ও অযৌক্তিক আইন বাতিলের উদ্যোগ নিতে হবে।’
সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে ‘কেমন হবে আগামীর ব্যবসাবান্ধব সিলেট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে সিলেটে ব্যবসায়ীদের সকল সমস্যাবলী চেম্বারের মাধ্যমে লিখিতভাবে নিয়ে দ্রুত সমাধান করা হবে। সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আনোয়ারুজ্জামান আরো বলেন ‘সিলেট আমার প্রাণের শহর এবং আমি এই সিলেটেরই সন্তান। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে সিলেটের সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের সকল সমস্যাবলী নিরসনে গুরুত্ব সহকারে কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে আমার উপর আস্থা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে সিলেটের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বিগত ১০ বছরে সিলেটের ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। ট্রেড লাইসেন্স এর ফি অসহনীয় হারে বৃদ্ধি, অতিরিক্ত সাইনবোর্ড ফি আরোপ, ময়লা পরিষ্কারের জন্য আলাদা ফি, টিউবওয়েল স্থাপনে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ নাজেহাল হয়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বেশিরভাগ কাজ সিলেটের কন্ট্রাক্টররা পান না। তাছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতা, যানজট, ফুটপাত দখলমুক্ত করা, হাসান মার্কেটের জায়গার আধুনিক বাণিজ্যিক ভবন তৈরি, মধুবন মার্কেটে পানির লাইন স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি তুলে ধরেন। মেয়র নির্বাচিত হলে এসব অনিয়ম ও অযৌক্তিক আইন বাতিলের জন্য তিনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে আহবান জানান।
সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, হুমায়ুন আহমদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, দেবাংশু দাস, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সারোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সাবেক পরিচালক ও বৃহত্তর স্টেশন রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকির হোসেন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক হুরায়রা এফতার হোসেন, জহির হোসেন, মধুবন মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, ব্রহ্মময়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আতিকুর রহমান, এলজিইডি কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি রাখাল দে, হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ আজিজুল করিম, জাতীয় মহিলা সমিতি, সিলেট শাখার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদ, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সিলেট নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য সুষমা সুলতানাসহ সিলেটের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ।