দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কয়েস লোদী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৩, ৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার কাউন্সিল প্রার্থী হচ্ছেন না রেজাউল হাসান লোদী (কয়েস লোদী)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন মহানগর বিএনপি নেতা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চার বারের নির্বাচিত এই কাউন্সিলর। নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কয়েস লোদী জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল হাসান লোদী বলেন, ‘২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত হওয়ার পর ২০০৩ সালের প্রথম নির্বাচন থেকে অদ্যাবধি আমি নগর ভবনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। দীর্ঘ এই ২০ বছরে ওয়ার্ডবাসী টানা চারবার আমাকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। সিসিকের প্রথম নির্বাচনে অল্প বয়সে মানুষ আমার প্রতি যে আস্থা আর বিশ্বাস রেখেছিলেন তা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসী আমাকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন এই ঋণ আমি কোন দিনই শোধ করতে পারব না। যত দিন বেঁচে থাকবো তা আমার জন্য বাকি জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
লোদী অভিযোগ করেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও সুশাসন বলতে কিছু নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা, সাধারণ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখনো মুক্ত নন। তিনি বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। আমাদের নেতা তারেক রহমান সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো ভোট দিতে পারছে না, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ।’
এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘সিলেট সিটি কর্পোরশেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার এমনকি সিসিকের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পানি শাখার কর্মচারী সাইফুর রহমান ইমন সহ নগরীর প্রায় ৪২ টি ওয়ার্ডের বহুসংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
কয়েস লোদী বলেন, ‘চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অসংখ্য নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়া মানে দলের শহীদ হওয়া নেতাকর্মীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা । সর্বোপরি দেশের মুক্তিকামী কোটি কোটি জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। তাই এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিলাম। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমি কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।”