সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর অভিযোগ
রাস্তা সংস্কারের নামে বেআইনিভাবে বৃক্ষনিধন করছেন বিশ্বনাথ পৌর মেয়র
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৩, ৪:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিশ্বনাথে রাস্তা সংস্কার কাজের নামে বেআইনিভাবে এক প্রবাসীর গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মসুলা গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী শামছুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শামছুল ইসলাম বলেন, তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন এলাকার মানুষের সুবিধার্থে একটি তিনতলা মসজিদ নির্মাণের জন্য। রামপাশা রোড ও বিশ্বনাথ হাবড়াবাজার মিরের চক সড়কের চৌমুহনীতে তাঁর পিতা সাজিদ উল্লাহর নামে ‘সাজিদ উল্লাহ মার্কেট’ রয়েছে। মার্কেটের সামনে খালি জায়গায় ৬টি বিশাল আকারের রেইন্ট্রি গাছ ছিলো। সম্প্রতি রাস্তা সংস্কার কাজের নামে ওই অর্ধ শতাব্দিকালের পুরনো ৬টি রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলতে তাঁকে মৌখিক নির্দেশনা দেন বিশ্বনাথের মেয়র মুহিবুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর জমির পাশের সরকারি রাস্তার ভূমি চিহ্নিতকরণের জন্য গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনে সরকারী সার্ভেয়ার নিয়োগের অনুরোধ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সার্বিক বিষয় সম্পর্কে অবগত করেন।
শামছুল অভিযোগ করে বলেন, আবেদনের সুরাহা হওয়ার আগেই গত ১৪ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন শ্রমিক গাছ কাটা শুরু করে ও তিনটি গাছ কেটে ফেলে। দুপুর ১২টায় চতুর্থ গাছটি কাটতে গেলে তিনি শ্রমিকদের বাধা দেন। এসময় শ্রমিকরা জানায়, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে।
পরে তিনি বিশ্বনাথ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলে গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিক কাদিপুর গ্রামের আব্দুল কালাম, রামপাশা গ্রামের রনি মিয়া ও শুকুর আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় পৌরসভার কাউন্সিলর রফিক ও ফজর আলী ওই তিন শ্রমিককে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মেয়র মুহিবুর রহমানই আইনের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো আইনি বৈধতা ছাড়াই অর্ধশতাব্দির প্রাচীন তিনটি রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলেছেন। এর প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী মো. শামছুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে কেটে ফেলা গাছের মূল্য ৭০ হাজার টাকা দাবি করে তিনি একজন প্রবাসী হিসেবে মেয়র মুহিবুর রহমানের ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিকার এবং বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গাছ কাটার অপরাধে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তিনি।