নাটকীয়তার পর আরিফের নাগরিক সমাবেশের অনুমতি
‘গ্রেফতার বা জেলের ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না’

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কী না এ ব্যাপারে আজ শনিবার সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করে ঘোষণা দেবেন- এমনটি আগেই জানিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এরজন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। তবে, গতকাল শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি এমন দাবি করে পুলিশ রেজিস্ট্রারি মাঠের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, আরিফুল হক চৌধুরীও নাগরিক সমাবেশের অনুমতি না দিলে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। পরে বহু নাটকীয়তার পর অনুমতি মিলে নাগরিক সমাবেশের। অনুমতি পেয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরের ৪২ ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নাগরিকদের সমাবেশে উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জানা গেছে, জন নিরাপত্তা বিঘœ হবে এমন আশঙ্কায় গতকাল শুক্রবার সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আরিফকে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ না করার অনুরোধ করা হয়। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে নিজের অনুসারীদের নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটকের সামনে বসে পড়েন। এসময় নেতাকর্মীরা আরিফের পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমাবেশের জন্য আমি তিন দিন আগে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। টিভি-পত্রপত্রিকায় প্রচারণা চালিয়েছি, মাইকিং করেছি। এটা কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য মহানগরবাসীকে ডেকেছি।’

পুলিশ তাকে সড়ক থেকে সরে যেতে বললে মেয়র বলেন, আমি এখান থেকে সরছি না। প্রয়োজন হলে আমাকে আটক করেন। গ্রেফতার বা জেলের ভয় দেখিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না।

প্রায় ঘন্টাখানেক মাঠের সামনের সড়কে অবস্থানের পর পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর খুলে দেওয়া হয় রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটক। পরে সমাবেশের জন্য ডেকোরেটার্সের সরঞ্জামাদি প্রবেশ করে মাঠে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার সুদীপ দাস জানান, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কায় আরিফুল হক চৌধুরীকে সমাবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছিলো। তবে পরে মেয়রের অনুরোধে তাকে শনিবার সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে, বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে শুরু থেকেই গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আরিফুল হকের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকান্ডে এই গুঞ্জন ও নগরবাসীর কৌতুহল আরো বাড়িয়েছে। আজ শনিবার তিনি প্রার্থীতা নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করবেন এবং কৌতুহল মিটবে নগরবাসীর।