সিসিক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০২৩, ৪:৩৫:১৫ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিএনপি’র সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের বাব বার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন।
গতকাল এলাকাবাসীর সাথে আয়োজিত মতবিনিময়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ডবাসীর ভোটে ১৯৯৫ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্ব কনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর একাধিকবার নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় ২০ বছর ওয়ার্ডবাসীর সেবা করেছেন। এ সময়ে ওয়ার্ডবাসীর যে সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছিলেন; সেজন্য তিনি চিরঋণী। এজন্য তিনি ও তার পরিবার ওয়ার্ডবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নিজেকে বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ইতিপূর্বে তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, সদ্য বিলুপ্ত মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও বর্তমানে ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সুশাসন বলতে কিছুই নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। বাংলাদেশের ইতিহাসে সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখনও সরকারের কারাগারে বন্দি। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্বেও বিদেশ গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে স্বদেশে ফিরতে পারছেন না। জননেতা এম ইলিয়াস আলী, সাবেক ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, যুবনেতা জুনেদ আহমদ ও আনসার আলী সহ অসংখ্য নেতা-কর্মী ‘সরকারের গুম নামক কারাগারে’ বন্দি। বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ইতিমধ্যে অসংখ্য নেতা কর্মীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের বাসাবাড়িতে পুলিশি হয়রানি চলছে। এর মধ্যে সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে সাধারণ মানুষ নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে ও দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন তিনি। সেই সাথে দলের নেতা কর্মী ও ভোটার এবং ২২ নং ওয়ার্ডবাসীকে ভোটকেন্দ্রে না যাবার অনুরোধ করেন।
২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মর্তুজা আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন-মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, বিশেষ অতিথি ছিলেন-মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মঈনুদ্দিন সুহেল, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এ কে এম আহাদুস সামাদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আহমদ চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম, জাফর ইকবাল তারেক, আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধ্যক্ষ অজি মোহাম্মদ কাওসার, এনামুল আজিজ মুন্না ও মোস্তাক আহমদসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও ওয়ার্ডবাসী। শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন কাজী শামসুল হক।