জেলা প্রশাসন ও লিডিং ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে রিজিওনাল কম্পিটিশন
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের প্রতিটি গ্রামই হতে পারে স্মার্ট ভিলেজ —দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ৫:২৯:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতার কল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, সবার আগ্রহ, আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে দেশের প্রতিটি গ্রামই স্মার্ট ভিলেজ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট রিজিওনাল ‘স্মার্ট ভিলেজ আইডিয়া কম্পিটিশনে’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেট জেলা প্রশাসন ও লিডিং ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ সুরমার রাগীবনগরস্থ ক্যাম্পাসে সকাল ১০টায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সিলেটের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫টি টিমে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, আজ আমরা যেখানে অনুষ্ঠান করছি-এটাও স্মার্ট ভিলেজের দৃষ্টান্ত। হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে রাগীবনগর আজ শিক্ষানগরীতে পরিণত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতার আয়োজনে সিলেট জেলা প্রশাসনের আগ্রহের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সবার সহযোগিতার ফলেই এ আয়োজন সফল হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে এবং এখান থেকেই তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করা যায়। তিনি সিলেট জেলা প্রশাসন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং আয়োজক কমিটিকে এ ধরনের একটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, আধুনিক বিশ্বের ধারণা থেকেই আজকের এই স্মার্ট ভিলেজ আইডিয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এটা দেশের প্রতিটি গ্রামকে উন্নত করতে সহায়তা করবে এবং বতর্মান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সিলেটের তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইডিয়া কম্পিটিশন আয়োজনে লিডিং ইউনিভার্সিটির আগ্রহ এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ.এস.এম কাসেম।
লিডিং ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে এরকম একটি প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ এবং সফলভাবে তা সম্পন্ন করার জন্য সিলেট জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন।
স্মার্ট ভিলেজ আইডিয়া কম্পিটিশনের সমন্বয়ক ও লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রুমেল এম. এস. রহমান পীরের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘স্মার্ট ভিলেজ আইডিয়া কম্পিটিশন’-এ প্রথম হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম Robust এবং দ্বিতীয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম SUST-BLOCKBIT. এতে তৃতীয় হয়েছে লিডিং ইউনিভার্সিটির Team Solar Storm. Honorable Mention প্রথম লিডিং ইউনিভার্সিটির Team_Optimistic এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের Team VIP (Village is Priority) এবং Artistic Souls. এ প্রতিযোগিতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন-লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ.এস. এম. কাসেম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. ফরহাদ রাব্বি এবং ডেনমার্কের আইটি ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহ্যাগেন এর প্রফেসর ড. হাসিব আহসান।