‘বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণকালে দানবীর ড. রাগীব আলী
অপরাধ-দুর্নীতির মূলোৎপাটনে সিলেটের ডাক কর্মীদের সচেষ্ট থাকতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২৩, ৫:১০:৩২ অপরাহ্ন

অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাউসার চৌধুরী ও নূর আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেটের বহুল প্রচারিত দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, অসংখ্য শিক্ষা ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, সাংবাদিকতার নীতিমালা সমুন্নত রেখে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক সিলেটের ডাক-তার গৌরবময় পথচলা অব্যাহত রেখেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন একঝাঁক মেধাবী ও পরিশ্রমী সংবাদকর্মী। যারা অপরাধীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে চলেছেন। গহীন থেকে সংবাদ তুলে এনে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে তা পাঠকদের সম্মুখে উপস্থাপন করছেন। এ পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সংবাদ কর্মীদের সমাজের অবহেলিত , নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের সুখ দুঃখের চিত্র পত্রিকার পাতায় আরো বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে।
গত বুধবার রাতে মালনীছড়া চা বাগান কোম্পানী বাংলোয় দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সংবাদকর্মীদের উৎসাহদানে দৈনিক সিলেটের ডাক এর প্রয়াত সম্পাদক বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর নামে প্রবর্তিত ‘বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রথম পর্যায়ে সার্বিক বিষয়ে রিপোটিংয়ের জন্য সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী ও সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু আলোচিত রিপোর্টের এর জন্য সিনিয়র রিপোর্টার নূর আহমদ ‘বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন। এসময় দানবীর ড. রাগীব আলী অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত রিপোর্টারদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মানী তুলে দেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, সিলেটের ডাক-এর প্রত্যেক সংবাদকর্মী নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালো রিপোর্ট করছেন। সমাজে সংঘটিত অন্যায় অবিচার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরছেন পত্রিকার পাতায়। দৈনিক সিলেটের ডাক এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হন । সম্প্রতি দৈনিক সিলেটের ডাক-এ প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এমনটি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, এটা একজন প্রতিবেদকের জন্য সাফল্যের। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সিলেটের ডাক-তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন-দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদক আব্দুল হাই, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, বার্তা সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর, সিনিয়র সাব এডিটর আবদুস সবুর মাখন, চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী এবং নূর আহমদ, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য দেওয়ান সাকিব আহমদ ও সিলেটের ডাক-এর এমসি কলেজ প্রতিনিধি লবীব আহমদ।
অনুষ্ঠানে দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন, দৈনিক সিলেটের ডাক আপামর মানুষের মুখপত্র। পত্রিকাটি নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা বলে। সময়ের প্রয়োজনে সংবাদপত্র প্রকাশনায় নানা প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। দৈনিক সিলেটের ডাকও পর্যায়ক্রমে পাঠকের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ ‘বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি রিপোর্টারদের উৎসাহ প্রদানে এই অ্যাওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন।
প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের বলেন, প্রথম পর্যায়ে যে দুজন রিপোর্টারের হাতে ‘বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেস্ট রিপোর্টিং এওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়েছে, দুজনই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘লিখিত ও মেখিক পরীক্ষা না দিয়েও নিয়োগ পেলেন ৯ পরিবারকল্যাণ সহকারী’সহ একাধিক প্রতিবেদন সিলেট জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাদের কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে রিপোর্টারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।