কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা সময়ের একান্ত দাবি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৩, ৫:২২:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উলামা পরিষদ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত খতমে নবুওয়াত মহাসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট ঘোষণা সত্ত্বেও আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর পূর্বে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নামে অভিশপ্ত ব্যক্তি নবুয়তির দাবি করে। সেসময় থেকে তার অনুসারীরা নিজেদেরকে আহমদিয়া মুসলিম জামাত দাবি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের দেশেও কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চলছে। এখন সরকারিভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণা সময়ের একান্ত দাবিতে পরিণত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টা থেকে সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা শায়েখ জিয়া উদ্দিন, মাওলানা আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী ও মাওলানা শায়েখ মহসিন আহমদ এর যৌথ সভাপতিত্বে সমাবেশে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
মহাসমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। এটা যেভাবে মুসলমানদের মূল বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত, ঠিক তেমনি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (স.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পর কোন নবী আসবেন না। এটা মুসলমানদের মূল আকিদা বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (স.) সর্বশেষ নবী, এটাই খতমে নবুয়ত। নবীজির পর আর কোন নবীর এ পৃথিবীতে আগমন হবে না। এ ব্যাপারে কোন মুসলমান যদি সামান্য পরিমাণ সন্দেহ করে সে মুসলমান থাকতে পারবে না। পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা, হযরত মুহাম্মদ (স.) শেষ নবী।
মহাসমাবেশে উলামা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল খায়ের বিতঙ্গলী সমাবেশের মাধ্যমে কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণার জোর দাবিসহ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসময় উলামা পরিষদের সদ্য মৃত্যুবরণকারী সভাপতি আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি’র আত্মার মাগফিরাত ও পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
মাওলানা আবুল হুসাইন চাতুলী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নিয়মত উল্লাহ খাসদবীরি, মুফতি রশিদ আহমদ এবং মাওলানা আহমদ সগীর বিন আমকুনীর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বরুনা, মাওলানা আব্দুস সোবহান জাউয়া, মাওলানা আব্দুল বছির সুনামগঞ্জী, মাওলানা সামসুদ্দিন দুর্লভপুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা আহমদ আলী চিল্লা, মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা মুহিবুর রহমান মিটিপুরী, মাওলানা মাশুক আহমদ সালামী, মাওলানা আহমদ কবির বিন আমকুনী, মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, মাওলানা মুহিবুর রহমান মুক্তিরচক, মাওলানা শায়েখ সাইফুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল কবির আবরার, মাওলানা নজরুল ইসলাম তোয়াক্কুলী, মুফতি মুজিবুর রহমান আঙ্গুরা, মাওলানা ইউসুফ আহমদ খাদিমানি, মুফতি আবুল হাসান লামারগ্রামী, এডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ক্বারি আব্দুল হাফিজ শাহবাগ, মাওলানা এনামুল হক বহরগ্রাম, মাওলানা হিলাল আহমদ হরিপুর, মাওলানা জিলাল আহমদ শ্রীরামপুরী, মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজার, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান এল এল বি, মাওলানা তফজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা জুনাইদ কিয়ামপুরী, মাওলানা মুহি উদ্দিন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা জাকারিয়া মাহমুদ, মাওলানা তালিব উদ্দিন, মাওলানা ইমরান আলম, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা নুর আহমদ কাসিমী, মাওলানা আব্দুর রহমান শাহজাহান, মাওলানা সৈয়দ মাসরুর আহমদ, মাওলানা সাইদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ গাজীনগরী, মাওলানা দিলওয়ার হোসেন, মাওলানা এহিয়া খান, গোয়াইনঘাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ, কানাইঘাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকের, রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট মোহম্মদ আলী, মুফতি এবাদুর রহমান, ক্বারি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।