সিলেটে নাগরিক স্মরণসভায় বক্তারা
আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ছিলেন সকল শ্রেণির মানুষের অভিভাবক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৩, ৩:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ‘শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও সর্বশ্রেণির মানুষের অন্যতম অভিভাবক। জাতীয় ও সামাজিক সংকটে তিনি দায়িত্বশীল অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি ছিলেন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ও সার্বজনীন আস্থার জায়গা। তাঁর ইন্তেকালে জাতি একজন অভিভাবককে হারালো।’ গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের দরগাহ গেইটে শহীদ সোলেমান হলে নাগরিক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সম্মিলিত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ মবনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছির, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গাছবাড়ি হুজুর সর্বমহলে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন, তার জানাজা এটা প্রমাণ করে। তিনি ছিলেন সকল মানুষের আস্থার প্রতীক। আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছির বলেন, তার প্রিয় উস্তাদ শায়খুল হাদিস মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি (রহ.) ছিলেন একজন বিচক্ষণ ও আমানতদার আলেম। অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপনে তিনি ছিলেন সুন্নতে নববীর মূর্ত প্রতীক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, কিছু মানুষ জীবিত থাকতেও সর্বমহলে সম্মানিত থাকেন, মৃত্যুর পরেও সর্বমহলে সম্মানিত থাকেন। গাছবাড়ি হুজুর ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি আপাদমস্তক হক্কানী আলেম ছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি (রহ.) ছিলেন সকল মসলকের আলেম ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি বিভক্তি ও বিচ্ছিন্নতা মোকাবেলায় ঐক্যের প্রতীক ছিলেন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গাছবাড়ি হুজুর ছিলেন আলেমদেরও আলেম। সকল সংকটে তিনি ছিলেন সকলের জন্য আশ্রয়স্থল এবং দ্বীনি অভিভাবক।’ মাওলানা রেজাউল হক ও হেলাল হামামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি (রহ.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম হাফিজ মাওলানা আসাদ উদ্দিন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আখলাক আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, শামিমাবাদ মাদরাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, সিলেটজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু
চৌধুরী, নয়াসড়ক মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল্লাহ, দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি আতাউর রহমান পাকিস্তানি, বালুচর দলদলি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মতিন নবিগঞ্জী, গাজী বুরহান উদ্দিন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নাসির উদ্দিন, নয়াসড়ক মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা মুজিবুর রহমান, দরগাহ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, দারুসসালাম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, দরগাহ মাদরাসার শিক্ষক মুফতি রশিদ আহমদ, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, দরগাহ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, খাদিমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আসলাম রাহমানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিম সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান আলম চৌধুরী, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সম্পাদক সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, লাউয়াই আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রওনক আহমদ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুসাদ্দিক আহমদ, জামেয়া ফয়জুল উলুম মাদারাসার মুহতামিম মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, কেমুসাসের সহসাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক লিপন, সোবহানীঘাট মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আহমদ সগির, রসমেলার ডাইরেক্টর বদরুল আলম মুকিত, সিলেট বারের আইনজীবী আবদুল মুকিত অপি, দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস ও গাছবাড়ি হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা এনামুল হক জুনেদ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামিআ সিদ্দিকিয়ার শিক্ষার্থী এহসান আহমদ রুহান। ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন নয়াসড়ক মাদরাসার শিক্ষার্থী আবদুর রাজ্জাক।