বাড়ছে সাইবার অপরাধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২৩, ১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন
তোমরা প্রত্যেকে নীরবে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকো। আল্লাহকে ডাকতে গিয়ে একজন অপরজনকে কষ্ট দিবে না এবং কারও তেলাওয়াত বা নামাজে তেলাওয়াতের সময় আওয়াজ যেন অন্যজনের কণ্ঠস্বরের চেয়ে উঁচু না হয়। -হজরত মুহাম্মদ সা.
সাইবার অপরাধ বাড়ছে। নতুন রূপে বাড়ছে সাইবার অপরাধপ্রবণতা। আর এতে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। এক গবেষণার তথ্য এটি। তবে বুলিং কমেছে বলে এই গবেষণায় প্রকাশ করা হয়। একটি স্বচ্ছাসেবি সংস্থা সাইবার স্পেসে ভুক্তভোগিদের দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে জরিপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাদের মতে, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েছে।
সাধারণত সাইবার অপরাধ হলো, যেকোন ধরণের অনৈতিক কাজ, যার মাধ্যম বা টার্গেট উভয়ই হলো কম্পিউটার। অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অপরাধ করা হয়, সেটাই সাইবার অপরাধ। বিশিষত সাইবার অপরাধ ভীতিকর একটি শব্দ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য চুরি, তথ্য বিকৃতি, প্রতারনা, ব্ল্যাকমেইল, অর্থ চুরি ইত্যাদি করা হলে সেগুলোকে সাইবার অপরাধ বলা হয়। সাইবার অপরাধ হচ্ছে- কম্পিউটারে ব্যবহৃত কর্মকা-, যার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপরাধিরা বিশ্বব্যাপি অপরাধ পরিচালিত করে। অপরদিকে সাইবার অপরাধ পরিচিত সাইবার টেররিজম বা সাইবার সন্ত্রাস নামেও। বিভিন্ন পর্যায়ে এ ধরণের অপরাধমূলক
কর্মকা- ঘটে থাকে। যেমন- ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার-নেটওয়ার্ক অবকাঠামোকে সরাসরি আক্রমণ এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি ও জাতীয় নিরাপত্তার ব্যতয় ঘটানো। এই সাইবার অপরাধে জড়িতরা সব বয়সের মানুষকেই তাদের শিকারে পরিণত করছে।বিশেষ করে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগজনক। যেমন-শিশুরা শিকার হচ্ছে সাইবার বুলিংয়ের। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়রানি করার নামই সাইবার বুলিং। এটি সামাজিক মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল ফোনে ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে যাদেরকে টার্গেট করা হয় তাদেরকে ভয় দেখানো, রাগিয়ে দেওয়া, লজ্জা দেওয়া বা বিব্রত করার জন্য বার বার এরূপ আচরণ করা হয়। ইতোপূর্বে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হয়- এসব দেশে সাইবার বুলিং-এর ঝুঁকি উদ্বেগজনক এবং বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি। শিশুরা অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে বিরূপ মন্তব্যের শিকার হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া বা চ্যাট করতে গিয়েও তারা যেসব ভাষা বা মন্তব্য দেখছে- সেটা অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বাচ্চাদের জন্য যে ভাষা উপযুক্ত নয় সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে অনলাইনে। অনেকে বুঝতেও পারছে না তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে।
সাইবার অপরাধ দমনে রয়েছে আইন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ শীর্ষক আইনে রয়েছে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। তবে এব্যাপারে জরুরি হচ্ছে সচেতনতা। অভিভাবকের উচিৎ তাদের সন্তানদের সঙ্গে ইন্টারনেট ও অনলাইনে আচরণ কিভাবে করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা। এক্ষেত্রে এমনটিও ঘটে, দেখা যায় অনেক অভিভাবক জানেনই না তাদের সন্তান কী করছেন ইন্টারনেটে, আর এটা আরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে ওই শিশুর ওপর। তাই অভিভাবকদেরও এ সংক্রান্ত সম্যক জ্ঞান নেয়া জরুরি।