উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
লিডিং ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটরা কর্মক্ষেত্রে সুনাম ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন ——দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২৩, ৫:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : লিডিং ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমার রাগীবনগরস্থ লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগিতায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা এবং প্রধান আলোচক হিসেবে দৈনিক প্রথম আলো’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা ও সেবাধর্মী অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হলেও লিডিং ইউনিভার্সিটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোসহ শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। লিডিং ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটরা কর্মক্ষেত্রে সুনাম ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মানবসেবায় নিবেদিতপ্রাণ দানবীর ড. রাগীব আলী কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামীর বাংলাদেশ অনেক সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার। তিনি বলেন, শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই চলবে না, ভালো মানুষও হতে হবে। প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে পথ চলতে হবে। তিনি সবাইকে লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, আজকে এখানে যাদেরকে সম্মানিত করতে আমরা উপস্থিত হয়েছি তারা সামনের দিনে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে আমাদেরকে সম্মানিত করবে। সুষ্ঠুভাবে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য তিনি আয়োজক কমিটি, আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক দৈনিক প্রথম আলো’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সুন্দর অবকাঠামো নিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটি এগিয়ে যাচ্ছে, যা আমি এখানে এসে উপলদ্ধি করতে পারছি। তিনি আরও বলেন, দেশ এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষকদের সাথে সম্মিলিত শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করেছে লিডিং ইউনিভার্সিটি। একটা মোমবাতি থেকে যেমন অসংখ্য মোমবাতি জ্বলে তেমনি একজন আলোকিত মানুষ হতে অসংখ্য আলো ছড়িয়ে আলোকিত সমাজ গড়ে উঠে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো বিষয় আছে যেখানে পড়াশোনা করে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। তিনি প্রথম আলোকে সহযোগী করে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করায় লিডিং ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং দানবীর ড. রাগীব আলীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুল হাই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তালমিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে লিডিং ইউনিভার্সিটি।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে বলেন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সংগ্রাম আজ থেকেই শুরু। শিক্ষা ও গবেষণায় লিডিং ইউনিভার্সিটি সুনাম আজ দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এখানকার শিক্ষকমন্ডলী দেশের এবং দেশের বাইরে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। তিনি বলেন, লেখাপড়ার জন্য বাজার নয়, প্রয়োজন নিরিবিলি পরিবেশে। এ জন্যই দানবীর ড. রাগীব আলী শহর থেকে দূরে লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য খ্যাতিমান শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার এবং আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন এবং কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, প্রথম আলো’র ইভেন্ট এন্ড এক্টিভেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার অরূপ কুমার ঘোষসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ কবির আহমদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা মিসেস শাম্মি আক্তারের তত্ত্বাবধানে ক্লাব সদস্যরা সংবর্ধনা পরবর্তী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান বলেন, শিক্ষার্থীদের অর্জনের স্বীকৃতি তুলে ধরার জন্যই আজকের এ সংবর্ধনা। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানান।