বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নির্মম ও নির্দোষ শিকার হলেন আদিবাসী জনগোষ্ঠী —প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুন ২০২৩, ৮:৪০:৩০ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নির্মম ও নির্দোষ শিকার হলেন আদিবাসী জনগোষ্ঠী। আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। আদিবাসী তরুণ ও শিক্ষিত প্রজন্মকে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ বিনষ্টকারী কর্মকান্ডের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রযুক্তি ও কলাকৌশল সম্পর্কে জানতে হতে হবে। মূলধারার ন্যায় আদিবাসী তরুণদের যুগপৎভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।”
১০ জুন বিকেলে সিলেটের এফআইভিডিবি’র যেহীন আহমদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল ইন্ডিজিনিয়াস ইয়ুথ কনফারেন্স’ এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা ও পাসকপের নির্বাহী পরিচালক গৌরাঙ্গ পাত্র।
‘ভবিষ্যৎ সংযোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং সবুজ জলবায়ুর জন্য আদিবাসী যুবক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কাপেং ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে এবং পাসকপ, পাওয়াঙ্কা তহবিল এএলআরডি এবং অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ অ্যালামনাই সাপোর্ট গ্রান্ট এর সার্বিক সহায়তায় গত ৮ জুন তিনদিন ব্যাপী এ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেলের চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশিষ রায়, এএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমুদ্দিন খান, অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড অফিস বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার ড. তাহমিনা রশীদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন অঞ্চলের ২১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৪৫জন তরুণ এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।