হলফনামায় ‘মিথ্যা’ তথ্য দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার আনোয়ারুজ্জামানের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২৩, ৮:২২:৩৫ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক ॥ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছেন মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন নগরীর নরসিংটিলা এলাকার বাসিন্দা এ কে এম আবু হুরায়রা (সাজু)। সোমবার বিকেলে সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফয়সল কাদেরের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নৌকার প্রার্থী হলফনামায় জন্মতারিখ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি অসত্যভাবে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য তিনি তার প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করেন। তবে, অভিযোগের বিষয়ে মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি ভুয়া ও মিথ্যা একটি অভিযোগ। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। হলফনামায় সঠিক তথ্যই দিয়েছি।’
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর হলফনামায় জন্মতারিখ ১৯৭০ সালের ১ জুলাই এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ (সম্মান) উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮৪২০৮ এবং শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৬-১৯৮৭। রেজিস্ট্রেশন, প্রবেশপত্র ও সনদপত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৭২ সালের ১ জুলাই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাঁর জন্মতারিখ পরিবর্তন করার জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড বরাবর আবেদন করেছিলেন, যা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নামঞ্জুর করে। এছাড়া,তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৯০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই বাংলাদেশ ইয়ুথ প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখানে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশে কোনো প্রকার পড়াশোনা কিংবা পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পাসপোর্টের জন্ম তারিখের সঙ্গে এসএসসির সনদে উল্লেখিত জন্মতারিখে গরমিল আছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ কে এম আবু হুরায়রা সাজু লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হলফনামায় ভুল জন্মতারিখ উল্লেখ করে এবং সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করে নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ১৪-এ ধারা লঙ্ঘন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, ‘মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের আগে অভিযোগ পেলে তথ্য যাচাই-বাছাই করা যেত। এখন আমাদের আর কিছুই করার নেই।’