জলাবদ্ধতায় ফের নাকাল নগরবাসী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২৩, ৬:২৩:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল বুধবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। জলাবদ্ধতার পানি বেশকিছু বিপণি বিতান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এছাড়া নগরীর নিচু এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে সকাল ৬টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী শ্রী নিবাস দেবনাথ জানান, এ দিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫২.০৪ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সকালে সরজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির ফলে নগরীর মদীনা মার্কেট, আখালিয়া, কালিবাড়ি রোড, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হযরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগলি, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, খাসদবির, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, ছড়ারপাড়, তালতলাসহ বেশ কিছু নিচু এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। এছাড়া বারুতখানা এলাকার কয়েকটি দোকান এবং দর্শনদেউড়ি, জালালাবাদ হাউজ, ইদ্রিস মার্কেট ও জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন ও চৌহাট্টার বেশকিছু দোকানপাটের ভেতরে ঢুকে পড়ে পানি। রাস্তায় হাঁটু সমান পানি থাকায় যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ধীরগতির কারণে অনেক সড়কে দেখা দেয় যানজট।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসী দোষারোপ করছেন নগর কর্তৃপক্ষকে। তারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদাসীনতাকে দায়ী- বলে মনে করছেন।
নগরীর রাজারগলি এলাকার বাসিন্দা কাওসার আহমদ বলেন, সকলেই সামনের সিটি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। এই দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই। তিনি অভিযোগ করেন ড্রেনেজ সিস্টেম যদি সঠিক সময় সংস্কার করে রাখা হতো, তাহলে এই ভোগান্তি জনগণকে পোহাতে হতো না। বার বার এই ভোগান্তির পর সিসিকের টনক না নড়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি কর্পোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট সিটি এলাকায় যে ড্রেনগুলো নতুন করে করা হয়েছে-সেগুলো আরও বড় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদাররা সেই ড্রেনগুলো তৈরির সময় অনেকটা সরু করে ফেলেছে। তাই সঠিকভাবে এ সকল ড্রেন দিয়ে পানি না নামায় নগরের এই জলাবদ্ধতা। ড্রেইনগুলোকে আরও বড় করতে পারলে হয়তো নগরে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।