সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
ওসমানীনগরে নির্যাতন-হয়রানির শিকার দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ নেতা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২৩, ৬:৪০:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ওসমানীনগরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা ও মামলা দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ পরিষদ নেতাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওসমানীনগরের মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মো. আব্দুর রহিম।
গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ওসমানীনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান নাজলু’র দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার কারণে আমার উপর হামলা হয়েছে এবং মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে। আফজালুর প্রভাব খাটিয়ে নিজস্ব বাহিনী দিয়ে একের পর এক অন্যায় করে যাচ্ছেন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ তটস্থ। তার নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাসী ও দখলবাজদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাজলু ২০১৬ সালের ১২ জুন আদালত অবমাননার অপরাধে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। সুরমা টাওয়ার এর চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শামীম আহমদের সাথে মিলে ব্যবসা বাণিজ্য এবং সরকার বিরোধী কর্মকান্ডেও তার হাত রয়েছে।’
রহিম বলেন, ‘নাজলুর সাথে আমার আর্থিক লেনদেন রয়েছে। তিনি টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় তিনি এবং তার সহযোগী হামতনপুর গ্রামের সাইস্তা মিয়ার পুত্র মতিউর এবং চেপাড়পাড়া গ্রামের মৃত খোকা সূত্রধরের পুত্র সুমন সূত্রধর প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগে তাদের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় প্রায় তিন সপ্তাহ জেল খেটেছেন।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ২২ মে বাড়ি থেকে বের হয়ে সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ব্রীজ দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে শহরে যাওয়ার পথে নাজলু, তার সহযোগী মতিউর ও সুমনসহ অজ্ঞাতনামা তাদের আরো ৭/৮জন সহযোগী আমার গাড়ির গতিরোধ করে। নাজলু আমাকে প্রাণে মারতে অবৈধ পিস্তল দিয়ে গুলি করে। এতে আমার ডান পায়ের উরু গুলিবিদ্ধ হয়। তখন প্রাণে বাঁচতে চিৎকার করায় নাজলুর সহযোগী মতিউর ধারালো ডেগার দিয়ে আমার গলায় আঘাত করলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার পিঠের ডান দিকে গুরুতর জখম হয়। তখন আরেক সহযোগী সুমন সূত্রধর ধারালো রামদা দিয়ে আঘাত করলে পিঠের বাম পাশে লেগে গুরুতর জখম হয়। তাদের আরেক সহযোগী যাকে আমি মামলার সাক্ষী রেখেছি নাবেদুর রহমানও আমাকে মারধর করে। তখন আমার সিএনজি চালক কদ্দুছ মিয়াসহ পথচারী লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
এ ঘটনায় আদালতে নাজলুকে প্রধান আসামি এবং তার সহযোগী মতিউর ও সুমনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। আসামীরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী আফজালুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা যেকোন সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। তাদের অব্যাহত হুমকি এবং হামলা মামলার ভয়ে তিনি লুকিয়ে জীবন যাপন করছেন। তাই, জীবনের নিরাপত্তা ও নাজলু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।