জগন্নাথপুরে নলজুর নদীর দুই সেতু দিয়ে পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ!
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২৩, ৮:১২:৩২ অপরাহ্ন

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুটি আবারও ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত চারদিন ধরে সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ সেতুকে ঝুঁকিতে রাখলেও কচুরিপানা অপসারণে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে দেবে যাওয়া সেতুর পিলার আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন উপজেলাবাসী।
উপজেলাবাসী জানান, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুটি এলাকার লোকজন দুই টাকা করে চাঁদা তুলে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরু এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। অপরদিকে নলজুর নদীর গুদামের পাশে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ১৯৮৬ সালে নির্মিত সেতুটি গত ২৬ মার্চ ভেঙে নতুন আর্চ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সময় সেতুর পাশে বিকল্প একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। অপরদিকে, গত বছর নলজুর নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভার সেতুর দেবে যাওয়া অংশে ষ্টীলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়।
জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, নলজুর নদীর ওপর চলাচল করতে দুটি সেতুই এখন ঝুঁকিতে আছে। বিকল্প সেতু দিয়ে যাওয়া ও দেবে যাওয়া ডাকবাংলো সেতু দিয়ে আসার ব্যবস্থা করে কোন রকম চলছে যাতায়াত। বর্ষার পানি আসতেই দুটি সেতু ঝুঁকিতে রয়েছে। তারমধ্যে ডাকবাংলো সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ আটকে সেতুর পিলারকে চাপ দিচ্ছে। ফলে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের জন্য এলজিইডি ও পৌর পরিষদকে আমরা অবগত করেছি। জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ জানান, নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ সরানোর উদ্যোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আলখানা জলকপাট বন্ধ থাকায় কচুরিপানা আটকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, গুদামের সামনে বিকল্প সেতুর পাশে নৌকাঘাট ব্যবহার করলে বিকল্প সেতুর সড়ক ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অপরদিকে ডাকবাংলো সেতুর নীচে কচুরিপানার স্তুপ সরানোর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছি। তিনি নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।