এবার দাম চড়া হওয়ার সম্ভাবনা
সিলেটে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২ লাখ ১২ হাজার পশু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুন ২০২৩, ৫:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯টি পশু মজুদ রয়েছে। এটা প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাব। এর বাইরেও ব্যক্তি পর্যায়ে আরও কিছু পশু রয়েছে। যেগুলো এই হিসাবের বাইরে রয়েছে। অন্যদিকে খামারিরা দাবি করছেন, এবার অন্য বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর মূল্য বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ পশু লালন পালনে ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
সিলেট জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মু. আলমগীর কবির জানান, সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬৫ হাজার ৮৯৬টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৩৫ হাজার ২৮, হবিগঞ্জে ৫৪ হাজার ৭০৮ এবং সুনামগঞ্জে ৫৭ হাজার ৩৬৭ কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে।
সিলেট জেলায় ষাঁড় ২৮ হাজার ২৪৫টি, বলদ ১৩ হাজার, গাভী ৫ হাজার ৩৪১, মহিষ ৩ হাজার ১৪০টি, ছাগল ১১ হাজার ৭৯৮টি, ভেড়া ৪ হাজার ৩৫৬টি এবং অন্যান্য ৫৬টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। মৌলভীবাজারে ষাঁড় ১৭ হাজার ৪১৫টি, বলদ ৩ হাজার ৭২৯টি, গাভী ৩ হাজার ৩৪২টি, মহিষ ১ হাজার ২৮০টি, ছাগল ৭ হাজার ৭৫১টি এবং ১ হাজর ৪৮১টি ভেড়া মিলিয়ে ৩৫ হাজার ২৮টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। হবিগঞ্জ জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড় ২৮ হাজার ৯২৯টি, বলদ ৪ হাজার ৯৪১টি, গাভী ৭ হাজার ৬৪৯টি, মহিষ ৭২০টি, ছাগল ৮ হাজার ৯৭৪টি এবং ভেড়া ৩ হাজার ৪৮৯টি রয়েছে। আর সুনামগঞ্জে ষাঁড় ৩০ হাজার ৪৬৯টি, বলদ ৭ হাজার ৭১১টি, গাভী ৮ হাজার ১৫৬টি, মহিষ ১ হাজার ২৯৪টি, ছাগল ৫ হাজার ৩৩৬টি, ভেড়া ৪ হাজার ৩৩১টি মিলিয়ে ৫৭ হাজার ৩৬৭টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে।
অপরদিকে খামারি ফখরুল ইসলাম দাবি করেন তার খামারে ৪০টি বিক্রয় যোগ্য গরু রয়েছে। এর সবকটা গরুর দাম লাখের উপরে। তিনি বলেন, এবার খরচ বেশি-যার জন্য বেশি দাম না পেলে কোনভাবে বাঁচা যাবে না।
অপর খামারি মখলিছুর রহমান জানান, তার খামারে ৩৫টি গরু রয়েছে। মাঝারি থেকে নিয়ে বড় সব ধরনের গরু। তিনি বলেন, অন্য বছরের তুলনায় সবকিছুর দাম বেশি এর জন্য বাজারও চড়া থাকবে।
আরিফুল ইসলাম নামের এক খামারি বলেন, যতই দাম বেশি হয়না কেন ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে ভারত থেকে অবৈধ পথে প্রচুর গরু সিলেটে চলে আসে। এরজন্য সিলেটের বাজারের গরুর দাম উঠানামা করে।
সিলেট নগরীর প্রধান গরুর হাট কাজিরবাজারে গিয়ে দেখা যায় যে গরু গত বছর ৭০/৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটা এবার বর্তমান সময়ে লক্ষাধিক টাকা হাঁকা হচ্ছে।
গরু বেপারি আব্দুল আলী জানান, এবার আগে ভাগেই গরুর মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মু. আলমগীর কবির বলেন, গত বছরের থেকে এবার সিলেট বিভাগে পশুর সংখ্যা বেশী। স্থানীয় ও খামারিদের কাছে থাকা কোরবানিযোগ্য পশু মিলিয়ে চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আশাকরছি আমাদের চাহিদা পূরণ করে সিলেটের পশু দেশের অন্যান্য জায়গায় যাবে বিক্রির জন্য। গরুর মূল্য বাজারের ক্রেতাদের উপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।