কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে গাইলেন সিলেটের লোকসংগীত শিল্পী গৌতম চক্রবর্ত্তী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২৩, ৯:০৪:৪৬ অপরাহ্ন
চল্লিশের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যাঁরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গণজাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সঙ্গীত শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরী। এই শিল্পীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘লোকভারতী’র আয়োজনে কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে গত ৩ ও ৪ জুন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলো অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ শ্রীহট্ট সম্মিলনী। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করেন প্রবীণ বাউল সম্রাট পদ্মশ্রী পূর্ণ চন্দ্র দাস বাউল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসঙ্গীত শিল্পী গীতা চৌধুরী, প্রাক্তন নগরপাল সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, পিয়ারলেসের এএমডি ড. সুজিত কর পুরকায়স্থ, রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ শ্রীহট্ট সম্মিলনীর সহ–সভাপতি প্রদোষ রঞ্জন দে এবং লোকভারতীর সভানেত্রী উত্তরা চৌধুরী, এবং সাধারণ সম্পাদক বাপ্পু এন্দ।
লোকসঙ্গীত এবং লোকসংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য এবারের নির্মলেন্দু চৌধুরী সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে বাউল সম্রাট পূর্ণদাস বাউল, লোকসঙ্গীত শিল্পী গীতা চৌধুরী, শিবব্রত কর্মকার ও শঙ্কর চৌধুরীকে। দু’দিনে তাঁদের হাতে সম্মান ও স্মারক তুলে দেন উত্তরা চৌধুরী।
লোকসঙ্গীত প্রচার ও প্রসারের জন্যই লোকভারতী সংস্থা স্থাপন করেছিলেন নির্মলেন্দু চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পর সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান পুত্র লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরী।
দু’দিনের লোক উৎসবের শেষ দিনে সংগীত পরিবেশন করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী। তিনি শাহ আবদুল করিমের ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’ এই গানটি পরিবেশন করেন এবং পরবর্তীতে আরকুম শাহ’র আজি দরশন মিলন গানটি তার সাথে দ্বৈত পরিবেশনায় অংশ নেন আসামের বরাক উপত্যকার আরেক জননন্দিত শিল্পী সর্বানী ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে কলকাতার স্বপন বসু, লোপামোদ্রা,অভিজিত বসু, কুন্তল রায়, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সম্পা বিশ্বাস, দোহার, মাদল, সর্বানী ভট্টাচার্য, গঙাধর তুলিকা, তীর্থ, প্রাণেশ সোম, বাংলাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের পল্লবী দাস সংগীত পরিবেশন করেন। বিজ্ঞপ্তি