মিসওয়াকের গুণাগুণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৩, ১২:১১:৩৯ অপরাহ্ন
রফিকুর রহমান লজু
ভালো সুস্থ থাকার জন্য, রোগ বালাই থেকে দূরে থাকার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। শুধু কাপড়-চোপড়ে বা বাহ্যিকভাবে পরিষ্কার থাকা নয়, আভ্যন্তরীণভাবেও পরিষ্কার থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিতে মুখের ভিতর ও দাঁ পরিষ্কার রাখা একান্তই আবশ্যক। মুখ দিয়ে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খাদ্যদ্রব্য খেতে হয়। এতে মুখে দাঁতের গোড়ায় খাদ্যকণা আটকে যায়। ফলে মুখে দুর্গন্ধ ক্ষয় সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য নিয়মিত মুখ গহ্বর ও দাঁত পরিষ্কার করতে হয়, নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয়। দাঁত পরিষ্কার করতে ব্রাস-পেইস্ট ব্যবহার করা যায়, মেসওয়াক করা যায়। মেসওয়াক ব্যবহার করলে দুটো ভালো কাজ হয়, প্রথমত দাঁত পরিষ্কার হয় এবং দ্বিতীয়ত একটা সুন্নত আদায় হয়।
সুন্নত মেসওয়াক করার কিছু নিয়ম কানুন আছে। (১) মিসওয়াক পীলু বা ঘয়তুনের ডালের হওয়া উত্ম (২) কনিষ্ঠ আঙ্গুলের মতো মোটা হওয়া উত্তম (৩) এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উত্তম (৪) নরম হওয়া ভালো (৫) কম গিরাওয়ালা উত্তম (৬) ডাল কাঁচা হওয়া ভালো। (৭) বিসমিল্লাহ বলে মিসওয়াক শুরু করতে হবে এবং দোয়া পড়া মোস্তাহাব। (৮) মিসওয়াক করার পূর্বে ধোয়া ও ভিজিয়ে নেয়া উত্তম (৯) শোয়া অবস্থায় মিসওয়াক করা ঠিক নয় (১০) মিসওয়াকের বিকল্প হিসেবে টুথ ব্রাস ব্যবহার করা যায় তবে তাতে মিসওয়াক করার সুন্নত আদায় হয় না (১১) ব্রাস করতে টুথ পেইস্ট দরকার হয়, এতে খরচও লাগে কিন্তু মিসওয়াকে পেইস্ট বা অন্যকিছুর প্রয়োজন হয় না।
প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে মুসল্লিগণ দাঁত মিসওয়াক করেন। এতে দাঁত পরিষ্কার থাকে, সুন্নতও আদায় হয়। মিসওয়াকের আরেকটা উপকারীতা হলো প্রত্যহ মিসওয়াক করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়। নিয়মিত মিসওয়াক করলে দাঁতের গোড়ায় পোকা জন্মাতে পারে না। মিসওয়াক করলে দাঁত সাধারণত রোগ-বালাই হয় না। ধৈর্য ধরে খেয়াল করে কিছুদিন- সাপ্তাহ দশ দিন অজুর পূর্বে মিসওয়াক করলে অভ্যাস হয়ে যাবে। অত:পর পাঁচ ওয়াক্ত অজু করার ময় মিসওয়াকের কথা মনে পড়বে। তখন অমনি অমনি মিসওয়াকটি হাতে ওঠে যাবে।
লেখক : সিনিয়র কলামিস্ট।