রেডক্রিসেন্ট এর পুনর্বাসন পর্যালোচনা সভা
পুনর্বাসন কার্যক্রম বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে —————————-নূর-উর রহমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৩, ৫:৩৭:৩১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব নূর-উর রহমান বলেছেন, বন্যার্ত মানুষের কল্যাণে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম একটি সফল উদ্যোগ। ২০২২ সালে বন্যার্ত প্রান্তিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবে এবং তাদের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্পটি একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।’
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ২০২২ সালের বন্যাকালীন ও সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ২০২২ সালের বন্যাকালীন ও বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্টর সোসাইটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী সফিকুল আজম ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা লুনা, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, লজিস্টিক বিভাগের পরিচালক লুৎফুর রহমান, অর্থ বিভাগের পরিচালক মঈনুল ইসলাম, হাসিবুল বারি রাজিব। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা’র উপ পরিচালক নুরুল আমিন এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মিজানুর রহমান, হাসিবুল বারী রাজিব, সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সুনামগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান পীর, হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সিলেটের উপ পরিচালক
কাজী জানে আলম, যুব প্রধান পলাশ গুণসহ সিলেট ইউনিটের যুব স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ। সিলেট ও সুনামগঞ্জে ২০২২ সালের বন্যা পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ১হাজার ২শত পরিবারকে ঘর তৈরী ও ল্যাট্রিন, ৬১৯ টি পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান, তাছাড়া ৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়। এছাড়া ১০টি টিউবওয়েল, ১ হাজার পরিবারকে ডিগনিটি কিটস, ১ হাজার ২১৯ পরিবারকে চারা গাছ, ১ হাজার ২০০ পরিবারকে হাইজিন পার্সেল ও সেলটার টুল কিডস, ও ২৫৩ জন কে ছাতা প্রদান করা হয়।-বিজ্ঞপ্তি