‘মাঝে মধ্যে লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত আগে কী ছিল’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৩, ৯:২৩:০২ অপরাহ্ন
![‘মাঝে মধ্যে লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত আগে কী ছিল’ ‘মাঝে মধ্যে লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত আগে কী ছিল’](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
ডাক ডেস্ক : বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঝেমধ্যে লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত আগে কী ছিল, এখন কোথায় আছে।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশ কোথায় ছিল, আওয়ামী লীগের হাতে কোথায় এসেছে- এর একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেবো, সেটা দিতে পেরেছি। সব ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং সংকটও দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, সেটাও থাকবে না। তবে মাঝেমধ্যে বোধহয় লোডশেডিং দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত- কী ছিল, কোথায় আছে?
এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর আন্দোলনেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এক সময় এদেশের মানুষের নুনভাত জোটাতে কষ্ট হতো। তারপর আসলো ডালভাত। এখন মাংস পাচ্ছে না, এই কথা আসছে। আমি জানি, মাংসের দাম বেড়েছে। তবে এটাও তো সত্য- মানুষের অবস্থার এমন পরিবর্তন হয়েছে যে, এখন মাংসের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা যেহেতু বাড়াতে পেরেছি, ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনে খাওয়াতেও পারবো।
শেখ হাসিনা বলেন, পলাশীর আম্রকাননে যেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগের হাতে সেটি ফের উদিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। যখন সংগঠনটি হয়, তখনো আমাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দায়ে জেলে ছিলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এনে দিয়েছে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।