আসামে ২২ জেলায় ভয়াবহ বন্যা
৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ মানুষ গৃহহীন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৩, ৯:২৫:০৬ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও খারাপ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রায় ২২টি জেলায় জলের পরিমাণ বেড়েছে। চার লাখ ৯৬ হাজার মানুষ সরাসরি বন্যায় বিধ্বস্ত। দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নলবাড়ি, বরপেটা, লখিমপুর, বাকশা, তমুলপুর, দাড়াং ও কোকড়াঝাড় অঞ্চলে। এই জেলাগুলিতে সবমিলিয়ে প্রায় এক হাজার পাঁচশ হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে। নষ্ট হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসল।
আসামের প্রশাসন জানিয়েছে, ১ হাজার ৩৬৬টি গ্রাম সম্পূর্ণ জলের তলায়। বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে। নিমতিঘাট এবং জোরহাটে লালসংকেত জারি করে রাখা হয়েছে। ধুবরি এবং বেকি নদী বিপদসীমার ওপরে। মানস নদী এবং পাগলাদিয়া নদীও বিপদসীমার ওপরে। ফলে চারদিক থেকে জল ঢুকছে বসতি অঞ্চলে।
প্রশাসনের তরফে এখনো পর্যন্ত ৮৩টি আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণ বন্টনের জন্য ৭৯টি শিবির তৈরি হয়েছে। আশ্রয় শিবির আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
২২টি জেলায় হাজার হাজার মানুষ হাইরোড, নদী সংলগ্ন উঁচু বাঁধ এবং রেল লাইনে অস্থায়ী শিবির বানিয়ে থাকছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬১টি জন দুর্গতকে উদ্ধার করেছেন বলে জানিয়েছে। এখনো পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বহু এলাকা থেকেই নিখোঁজের খবর আসছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, জল যেভাবে বাড়ছে, তাতে সমস্ত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত ১০টি বাঁধ, ৯২টি রাস্তা, তিনটি সেতু জলের তলায় চলে গেছে।