সাজিদ ট্রাভেলসের প্রতারণায় সিলেটসহ সারাদেশের ৪২ হজ যাত্রী যেতে পারলেন না হজে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২৩, ৫:০৮:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কেবল সিলেটের ৪ জনই নয়, ঢাকার সাজিদ হজ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস এজেন্সির মাধ্যমে ঢাকার সাজিদ হজ ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস এজেন্সির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এবার সারাদেশের ৪২ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে যেতে পারেননি। এর মধ্যে সিলেটের চারজন হজযাত্রী রয়েছেন। ট্রাভেলসের মালিক মুফতি মাওলানা অহিদুল আলম ভুঞার ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত প্রাপ্তি নিয়ে অনেকটাই অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
গতরাতে প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা কামাল পাশা জানান, তিনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সাজিদ ট্রাভেলসের মাধ্যমে এবার হজে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ট্রাভেলস মালিকের প্রতারণার কারণে তিনি হজে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হাব-এ অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। গোপালগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা কামাল পাশা জানান, এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ওই ট্রাভেল মালিককে হজের জন্য ১২ লাখ টাকা দেন। সর্বশেষ ২২ জুন না হলে ২৪ জুন ফ্লাইট দেয়ার কথা বলেছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু, এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি শামছুদ্দিন জানান, ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্যাকেজে তিনি ওই ট্রাভেলসের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু, হজে যেতে না পেরে গত পরশু তিনি পুলিশ নিয়ে ওই ট্রাভেলসে গিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ পান। ট্রাভেলস মালিকের ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি অনেকটাই হতাশ।
সিলেটের ৭ জন হাজী এবার এই ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজে যেতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন হজে যেতে পারলেও ৪ জন যেতে পারেননি। সিলেটের এসব হাজী নগরীর কুয়ারপাড়ের বাসিন্দা রেজাউল করিম রাফির মাধ্যমে ওই ট্রাভেলসে গমন করেন। এ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম রাফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি যথারীতি সাজিদ ট্রাভেলসকে হজের অর্থ পরিশোধ করেছেন। সিলেটের এসব হাজীদের হজে প্রেরণ করতে তিনি গত ৯ জুন থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ওই ট্রাভেলসের তিনজন যাত্রীকে হজে প্রেরণ করা সম্ভব হলেও বাকি ৪ জনকে পাঠানো যায়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ট্রাভেলসে প্রদেয় অর্থ উদ্ধারে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ অর্থ উদ্ধার না করে তিনি সিলেটে ফিরবেন না বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে নির্ধারিত সময়ে সৌদি যেতে পারেননি সব হজযাত্রী। এ কারণে ফ্লাইটের সময় আরো দুই দিন বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল শনিবার হজফ্লাইট শেষ হয়েছে। সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তারা সৌদিআরবে গেছেন। আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২২ জুন তাদের হজ ফ্লাইট শেষ করেছে।
ধর্মমন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানান, গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় হজের প্রথম ফ্লাইট। চলতি বছর হজযাত্রীদের বহন করে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বহন করে ৬১ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রী। বাকি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ার।