৪৪ ঘণ্টা পর সাদা পাথরে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০২৩, ৯:১৪:৫৫ অপরাহ্ন
আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় প্রেরণ
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ আব্দুস সালামের মরদেহ প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধলাই নদীতে লাশটি ভেসে ওঠে। এর আগে গত রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্ট (সাদা পাথর) এলাকায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হন সালাম। মৃত সালাম রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১১-এর বাসিন্দা। অন্যদিকে আব্দুস সালামের মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সালামের সঙ্গে ঘুরতে আসা সাজ্জাদ হোসেন শাহিন বলেন, ঢাকার মিরপুর থেকে ছয়জন সাদা পাথরে বেড়াতে আসেন। সেখানে তারা সবাই নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় তারা দুজন নদী সাঁতরে পার হওয়ার সময় প্রবল স্রোতে সালাম নিখোঁজ হন। এরপর গত রোববার ও সোমবার উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারে গত দুই দিন অনেক খোঁজাখুঁজি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। গতকাল মঙ্গলবার ওই পর্যটকের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ ফুট দক্ষিণে ভেসে ওঠে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সকল প্রক্রিয়াশেষে লাশটি পরিবারের লোকজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সালাম পিতৃ-মাতৃহীন। তার একটি বোন রয়েছে।
এদিকে, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, আব্দুস সালামের মরদেহ ভেসে উঠার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ইমরান আহমদ (ট্রেজারার) ও ফরিদা নাসরীন (সদস্য) মরদেহটি গ্রহণ করেন। এরপর কোম্পানীগঞ্জ হতে যথাযথভাবে লাশটি গ্রহণ করে ইসলামী রীতি মোতাবেক গোসল আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা শাখার নিজ ফ্রিজার এম্বুল্যান্স যোগে ঢাকাস্থ মিরপুর নিজ পরিবারের কাছে লাশ পৌছানো ও দাফন কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।