মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ আজমিরীগঞ্জ পৌরবাসী

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ সারাদেশে চলছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারিভাবে চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচারণা। এমন পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ পৌরসভায় দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।

যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পৌর এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের আলোতেও মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেও রেহাই মিলছে না। এজন্য পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন পৌরবাসী।
১০ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা। পুরো পৌরসভায় দেখা যায় মশার অবাধ বিচরণ। পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঢুকলেই, আশপাশে চোখে পড়বে মশার অবাধ বিচরণ। দিনরাত মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করা ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে।

মিয়াধন মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের বিভিন্ন স্থানে অপরিচ্ছন্নতার কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে রাস্তার উপর ময়লা পানি জমেছে। আর তা পচে একাধারে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে প্রজনন হচ্ছে বিভিন্ন জীবাণুবাহী মশার।
পৌর বাসিন্দা লিমন মিয়া জানান, মশার উপদ্রব বাড়ায় দিনের বেলায় মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপরিচ্ছন্ন থাকায় যেখানে-সেখানে পানি জমে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে পৌর এলাকায় মশক নিধন ওষুধ স্প্রে না করার কারণে মশার বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রব বাড়লেও সেদিকে খেয়াল নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহরাব হোসেন জানান, সর্দি, জ্বরের রোগীদের ডেঙ্গুর টেস্ট করানো হচ্ছে। তাই বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জুয়েল ভৌমিক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।