ইতি হত্যার পাঁচ বছর তদন্তে নেই অগ্রগতি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:২৭:২৬ অপরাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে ফিরুজুল ইসলাম চৌধুরী ঃ ৬ বছরের শিশু ইতি আক্তার হত্যা ঘটনার ৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের এখনো কোনো কূলকিনারা করা যায়নি। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার বিরামচর গ্রামে ২০১৮ সালে ঘটে ৬ বছরের অবুঝ শিশু ইতি হত্যাকান্ড।
এরই মধ্যে পার হয়েছে পাঁচ বছর। এখনো এ নৃঃসংশ হৃদয় বিদারক ও পাশবিক হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন আসবে কবে ? এ জিজ্ঞাসা সকলের।
জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিরামচর গ্রামের চটপটি বিক্রেতা মো. আব্দুস শহীদ মিয়ার শিশু কন্যা ইতি আক্তার। সে প্রতিদিন সহপাঠীদের সাথে গ্রামের মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যায়। ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই সকালে প্রতিদিনের মতো বাড়ির পার্শ্ববর্তী মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ইতি। মক্তবে পড়া শেষে সহপাঠীরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেও ইতির ফেরা হয়নি। পরে বাড়িতে অপেক্ষমান ইতির মা-বাবা ও পাড়া প্রতিবেশী হন্যে হয়ে ইতিকে খুঁজতে থাকেন। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও ইতিকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ইতির বাবা আব্দুস শহীদ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
পরদিন ২৬ জুলাই সকালে বিরামচর গ্রামের সাহেব বাড়ি সংলগ্ন মক্তবের পার্শ্ববর্তী একটি ঝোঁপ থেকে শিশু ইতির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে গ্রামের লোকজন। এরপর পুলিশ আসে লাশ উদ্ধার করে আর শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এক পর্যায়ে মামলাটি সিআইডিতে যায়। সবশেষে ইতি হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)
এ প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে এ ইতি হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। কিন্তু এ পর্যন্ত নৃঃসংশ হত্যা মামলার কোন কূলকিনারা হয়নি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি। অধরাই থেকে গেল হত্যাকান্ডের মূল আসামি। ইতি হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ইতির পরিবারের লোকজন।
এদিকে, ইতির বাবা আব্দুস শহীদ তার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে ঘুরছেন। মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে বুকে পোস্টার লাগিয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ইতির বাবা। তার প্রশ্ন কবে পাবেন তার মেয়ে হত্যার সুবিচার ?