বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০২৩, ৩:৩৬:২৬ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে সংবাদদাতা : বিয়ানীবাজারে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীর দাবি স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে, গৃহবধূর পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধূর নাম ফাহমিদা আক্তার (২৪)। তিনি উপজেলার জমির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকের আগে স্বামী আবিদুর রহমান জানান, বিয়ের তিন বছর হয়েছে এখনও কোন সন্তান পাননি। এ নিয়ে পরিবারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার সময় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয় তার। এরপর তিনি রুম থেকে বেড়িয়ে গেলে স্ত্রী ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন। এর ঘণ্টা খানেক পর আনুমানিক রাত ৪ টার সময় ডাকাডাকি করার পরও স্ত্রী দরজা না খোলায় দরজা ভেঙ্গে দেখেন স্ত্রী ফ্যানের রডের সাথে ঝুলে আছেন।
এদিকে, আত্মহননকারী ফাহমিদার পিতা জমির উদ্দিন অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, পরিবারের অমতে গেলো তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে পালিয়ে যায় তারা। পরে মেয়ের দিকে চেয়ে জাত-মত সব বিসর্জন দিয়ে এ বিয়ে মেনে নিই। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ফাহমিদাকে নির্যাতন করা হচ্ছে পরিবারে। তিনি দাবি করেন ফাহমিদা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার দায়ে স্বামীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।