পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি ফের বাড়ছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৩, ৪:৩৪:০৯ অপরাহ্ন
![পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি ফের বাড়ছে পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি ফের বাড়ছে](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/07/P-3-7.jpg)
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ মাসের প্রথম দিকে সুনামগঞ্জ জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়। এর পর পানি কমলে অবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু গত বুধবার রাতে আবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ ছাড়া, জেলার ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলেও জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জ শহরের নিকটে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলার বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহরে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপচে পড়া ¯্রােতের তোড়ে নদীর দুই তীরের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘরে পানি উঠায় অনেক পরিবারের উনুনে হাঁড়ি বসেনি গত দুদিন ধরে। রাস্তা, হাওর, মাঠঘাট ও গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বিপর্যস্ত মানুষজন। বিশেষত চেলা, মরা চেলা, চলতি, চিলাই খাসিয়ামারা ও চিলাই নদীর পানি বেড়ে সুরমা, বগুলা, লক্ষীপুর, নরসিংপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সহ¯্রাধিক একর আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন কৃষিজীবী পরিবারগুলো।
পাহাড়ি ঢলে জিরাগাও নদীর পূর্ব পাড়ের অর্ধশতাধিক বসত ঘরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র বিনষ্ট হওয়াসহ ভেঙে যাচ্ছে অনেক বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে খাসিয়ামারা নদীর দুই পাড়ের বেড়িবাধ। ইতোমধ্যে সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর-রাবারড্যাম রাস্তা রয়েছে হুমকির মুখে। খাসিয়ামারা নদীর দুই কুল উপচে টিলাগাঁও এলাকায় রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে চিলাই নদীর বেড়িবাধ ভেঙে উপজেলার বাংলাবাজার-বগুলাবাজার সড়কের চিলাই নদীর রাবারড্যাম্প সংলগ্ন কালভার্টের পাটাতনের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। বিচ্ছিন্ন হতে পারে বাংলাবাজার টু বগুলাবাজার যোগাযোগ ব্যবস্থা। দ্র”ত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ মোর্শেদ মিশু জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে বসতঘরে পানি উঠে ক্ষতি হলে ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের তা দেখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। শিগগির বাংলাবাজার টু বগুলাবাজার সড়কের কালভার্টের পাটাতনের নিচে বস্তা দিয়ে মেরামত করা হবে বলেও জানান তিনি।