কানাইঘাটে ভারতীয় নাগরিককে আটক করে মুক্তিপণ দাবি চোরাকারবারীদের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৩, ৪:৪৭:১৫ অপরাহ্ন
কানাইঘাট (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কানাইঘাটে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে একদল চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে। লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মাদারপুর গ্রামে এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এর সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে এনে আটকের সংবাদ জানার পর কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান প্রাথমিকভাবে জকিগঞ্জ থানার কাজলশাহ এলাকায় জানার পর জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় বিজিবিকে অবহিত করা হয়। জকিগঞ্জ থানা পুলিশও ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৭ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একদল চোরাকারবারী চক্র ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার গুমড়া থানার জালালপুর (তারাপুর) গ্রামের কামাল উদ্দিনের পুত্র ইকবাল উদ্দিন (২৫)-কে কৌশলে কাড়াবাল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। এরপর মাদারপুর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে একটি ঘরে তাকে আটক করে রাখা হয়। একপর্যায়ে চোরকারবারী চক্রের সদস্যরা ভারতীয় নাগরিক ইকবাল উদ্দিনের কাছে ভারতীয় ১৭ লক্ষ রুপী মুক্তিপণ দাবি করে। নির্যাতনের বিভিন্ন ছবি ইকবাল উদ্দিনের মোবাইলের ইমো, হোয়াটসএ্যাপ থেকে তার পরিবারের কাছে প্রেরণ করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
এমন নির্যাতনের চিত্র ও ভিডিও পেয়ে ভারতীয় নাগরিক ইকবাল উদ্দিনের আত্মীয় গোয়াইঘাট উপজেলার জাফলং গ্রামের রায়হান পারভেজ বিষয়টি স্থানীয় সীমান্তবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক ইকবাল উদ্দিনের বাড়ি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কাড়াবাল্লা ১৩৪১নং মেইন পিলার এর পূর্ব পাশে ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন জানান, মুক্তিপণ দাবির ঘটনার ভিডিও রেকর্ডওসহ নির্যাতনের কয়েকটি ছবি তার কাছে রয়েছে।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে তিনি পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বলেছেন।