ভূ-রাজনীতি ও বাংলাদেশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৩, ৪:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন
মো. মোস্তফা মিয়া
বাংলাদেশ তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিনিয়ত কোন না কোন সমস্যা মোকাবেলা করেই চলেছে। কখনও ফারাক্কা সমস্যা, কখন সীমান্ত সমস্যা, কখনও টিপাইমুখ সমস্যা আবার কখনও বা চলছে পার্বত্য এলাকার অশান্ত পরিবেশ, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ অসংখ্য সমস্যা। দেশটি দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধ আর লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে কিন্তু স্বাধীনতা ছিল এক খন্ডিত ভূ-খন্ড নিয়ে। বঙ্গভঙ্গের যে বাংলা তার ৬৪ শতাংশ নিয়ে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলার ৩৬ শতাংশ বঞ্চিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। সুতরাং বাংলাদেশ সূচনালগ্ন থেকেই বঞ্চনার শিকার আর এখন দেশটির বিরুদ্ধে চলছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নগ্ন থাবা। ক্ষুধার্ত হায়নার মতো কিছু স্বার্থবাদীগোষ্ঠী এ দেশকে গ্রাস করার জন্য মেতে উঠেছে উন্মাদ হলি খেলায়। তারা পদে পদে এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে ভূ-লুণ্ঠিত করতে চাচ্ছে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে। তারা আষ্টেপৃষ্ঠে খামছে ধরেছে এ দেশের লাল সবুজ পতাকাকে।
ভৌগোলিকভাবে দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি জনবহুল দেশ। দেশটি ২০ ডিগ্রি ৩৪র্ উ থেকে ২৬ ডিগ্রি ৩৮র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ০১র্ পূর্ব থেকে ৯২ ডিগ্রি ৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত যা দেশটির পরম (অনংড়ষঁঃব) অবস্থান নির্দেশ করে। অবস্থান ও ভূ-কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ। বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট অঝঊঅঘ, ঝঅঅজঈ-এর মত উদীয়মান আঞ্চলিক জোট, বর্তমান বিশ্বে আলোচিত দেশ ও জরংরহম ঈড়ঁহঃৎু চীন-এর মত দেশ এবং দক্ষিণে বিশাল জলরাশি ইধু ড়ভ ইবহমধষ এর মত অবস্থানিক প্রপঞ্চকের মধ্যে অবস্থিত যা তাকে বিদেশনীতি গ্রহণ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সকল অবস্থানিক প্রভাব বলয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি, সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী ও জনসাধারণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার যার কোনো বিকল্প আছে বলে আমি মনে করি না। অন্য দিকে একটি রাষ্ট্রের পরম অবস্থান (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাগত), সমুদ্র উপকূলবর্তী অবস্থান (ঝবধ–ঝরফব খড়পধঃরড়হ) সামরিক কৌশলগত অবস্থান (ঝঃৎধঃধমরপ খড়পধঃরড়হ), সন্নিহিত অবস্থান (জবষধঃরাব খড়পধঃরড়হ) সুসংহত হলে সেই রাষ্ট্রের
প্রভাববলয় বেড়ে যায় যা বাংলাদেশের অনুকূলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভৌগোলিক ও ভূ-রাজনৈতিক ভিত্তি :
বিশ্বব্যাপী আন্তঃনির্রভরশীলতার এ যুগে কোন জাতিই বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে পারে না। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই একে অপরের সাথে সম্পর্ক রাখা জরুরি। সাধারণত পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা হয়। নীতি হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অবলম্বিত কিছু কার্যক্রম। একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নীতি দুই প্রকার – ক. অভ্যন্তরীণ নীতি খ. বৈদেশিক নীতি। সাধারণভাবে অন্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত বৈদেশিক নীতিকেই পররাষ্ট্রনীতি বলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভৌগোলিক উপাদান :
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ও পাশের ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এমনকি পাকিস্তানের সাথে এই দু’টি দেশের সম্পর্কের ওপর। এই প্রেক্ষিতে বাংরাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি ঘোষণা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি ঘোষণা করেন ‘ঋৎরবহফংযরঢ় ঃড় ধষষ, সধষরপব ঃড় হড়হব.’ অর্থ্যাৎ সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়। এদেশের ভিশন ও মিশন নির্ধারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,‘বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’। পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর উল্লেখিত ঘোষণার মূলভিত্তি হলোঃ ১. ইতিবাচক নিরপেক্ষতা (চড়ংরঃরাব ঘবঁঃৎধষরঃু), ২. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান (চবধপবভঁষ ঈড়-বীরংঃবহপব), ৩. জোট নিরপেক্ষতা(ঘড়হ অষরমসবহঃ), ৪. সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক (ঋৎরবহফষু জবষধঃরড়হং ঃড় অষষ). বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫(১) অনুচ্ছেদে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে,“জাতীয় সার্বভৌম ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা”- এ সকল নীতিই হবে রাষ্ট্রের আর্ন্তজাতিক সম্পর্কের ভিত্তি।যা ভূ-রাজনৈরতিক ন্যায়সংঘত স্বার্থ আদায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কৌশলী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভূ-রাজনৈতিক ভিত্তি :
১.অবস্থান : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থিত। পাশের দেশগুলো থেকে দূরত্ব সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই দেশটিকে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ স্থান দিয়েছে।
২.অবস্থানের সামরিক গুরুত্ব : বাংলাদেশের সব দিক ভারত দ্বারা বেষ্টিত। নিঃসন্দেহে এটা একটা দুর্বলতা। অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ নাজুক হলেও এর সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা অতিক্রম করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে ৯০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করলে আশপাশের প্রায় ৪৮২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ধ্বংসলীলা চালানো সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক সামরিক শক্তিধর দেশের বাংলাদেশের ওপর তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে।
৩.পানিসীমার অর্থনৈতিক গুরুত্ব : ঋঙড এর মতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মহীসোপানকে “স্বর্ণখনি” বলা হয়েছে। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণ মৎস্য সম্পদের সম্ভাবনা রয়েছে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৭৬ প্রজাতির মৎস্যসম্পদ রয়েছে যা ধরতে পারলে প্রতিবছর বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
৪.পানিসীমার সামরিক গুরুত্ব : বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা একটি ত্রিভুজ আকৃতির সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর একমাত্র দিয়াগো গার্সিয়া ছাড়া এর আশপাশে আর কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নেই। বাংলাদেশের পানিসীমার এই ত্রিভুজ এলাকার ওপর যে বৃহৎশক্তি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে সে পাশের রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় পানিসীমার ওপরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে । এ জন্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক প্রপঞ্চক যার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশের লুলুপ দৃষ্টি রয়েছে।
৫.দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান : আঞ্চলিক সমঝোতা, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা প্রশ্নে এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই বাস্তবতা থেকেই বাংলাদেশের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে ঝঅঅজঈ নামে একটি আঞ্চলিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিজয়। এ ছাড়া অঝঊঅঘ, সিয়াটো সেন্টো, ইওগঝঞঊঈ প্রভৃতি আঞ্চলিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক গোষ্ঠী দ্বারাও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বহুলাংশে প্রভাবিত।
৬.বৃহৎ শক্তিবর্গের স্বার্থের দ্বন্দ্ব : স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মতাদর্শের ক্ষেত্রে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা বৃহৎ শক্তিবর্গের স্বার্থের টানাপড়নেই সৃষ্ট। স্বাধীনতাযুদ্ধের শত্রুরা আজ বাংলাদেশের মিত্র (যেমন-ইউএসএ, চীন) এবং সাহায্যকারীরা দূরে সরে গেছে। অতীতের এবং বর্তমানে সরকারগুলোর পটপরিবর্তনের ফলে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তা বৃহৎশক্তিগুলোর সম্প্রসারণবাদী নীতিরই সৃষ্ট।
৭.খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অবস্থা : নদীবাহিত পললদ্বারা বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সৃষ্ট হলেও এ দেশের একটা বৃহৎ এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাচীন ভূভাগ, সে সকল এলাকাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম, মৃত্তিকা, পানিসম্পদসহ বহু প্রাকৃতিক সম্পদ। এসব সম্পদের প্রতি রয়েছে বৃহৎ শক্তিবর্গের শকুনি দৃষ্টি। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিটন বাংলাদেশ সফরের সময় মৌলভীবাজারের হাড়ারগজ পাহাড়ের ইউরেনিয়াম নিয়ে মন্তব্য করতে ভুল করেননি। প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার মতো জ্বালানি শক্তির ওপর পাশের দেশসহ বহুদেশ মন্তব্য করেই চলেছে যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে প্রভাবিত করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পরাজয় এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ায় বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। নব্বই দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর চীন ধীরে ধীরে বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজকে প্রস্তুত করছে। এমতাবস্থায় চীনকে যদি আগামী বিশ্বশক্তির কেন্দ্রবিন্দু বলে খ্যাত ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে সবচেয়ে যোগ্যতম স্থান হচ্ছে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা তথা বাংলাদেশ কেননা এখানে চীনের সাথে আছে জনসংখ্যার মধ্যে জাতিতাত্ত্বিক মিল এবং কম দূরত্ব। এমতাবস্থায় চীন এই এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এটা কোন দিক থেকে গ্রহণ করবে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বাংলাদেশের সরকারযন্ত্রের। সামান্য ভুলের কারণে হয়তো এই সম্ভাব্য এলাকাটি এক সময় সমগ্র জাতির জন্য দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও রাজনৈতিক স্বার্থ টেকসই করতে হলে অবশ্যই বাংলাদের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ সমূহের দুইটি বিষয় সম্পর্কে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যথা-১. টেকসই অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং ২. সামরিক সক্ষমতা। এই দুইটি বিষয়ে সক্ষমতা অর্জন করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আভ্যন্তরীন সমস্যা হলো আইনের শাসনের অভাব এবং রাষ্ট্রীয় দূর্নীতি। এই সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আবশ্যক।ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ সমূহের দলীয় স্বার্থ পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রের ভবিষ্যত সার্বভৌম সক্ষমতার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা অপরিহার্য।
লেখক : কলামিস্ট।