জগন্নাথপুরে এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং তিন ঘণ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুলাই ২০২৩, ৫:২০:৪৭ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিকভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর তিন ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রাহকরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গ্রাহকরা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৯৮৬ সালে সিলেটের বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ আসে। গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকায় লো ভল্টেজ দেখা দেয়। দীর্ঘ ভোগান্তির পর ২০০৮ সালে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে একটি বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন চালু করা হয়। দূর হয় লো ভল্টেজ সংকট।
এরপর গত দুই বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের গাছের ডালপাল কর্তন করা হয়। গত বুধবার রাত ১১ টার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল ছিল।
জগন্নাথপুরে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ২২ হাজার একশ।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাসুদেব বাড়ি এলাকার বাসিন্দা তন্না চৌধুরী জানান, বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। পানির মোটর চলছে না। বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর গরমে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী মির্জা জুবায়ের আহমেদ জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয়ার পর তিনঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক নুরুল হক জানান, তীব্র তাপদাহ ও বিদ্যুতের লোডশেডিং এ বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দ্রুত এ সংকট থেকে মুক্তি চান তিনি।
জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। জগন্নাথপুরে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৯ মেগাওয়াট। বর্তমানে আমরা পাচ্ছি সাড়ে তিন মেগাওয়াট। তিনি আরো জানান, বিবিয়ানা বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়া ও ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ সরবরাহে ত্রুটি দেখা দেয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহে এ সমস্যা সমাধান হতে পারে।